হরভজন সিংহ।
রাজ্যসভায় এক জন ব্যাটার ছিলেন। এ বার এক স্পিনারও আসতে চলেছেন। খুব শীঘ্রই সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য হতে চলেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার হরভজন সিংহ। ভারতীয় বোলারের এই নতুন ইনিংস নিয়ে তাঁর চেয়েও বেশি নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।
ভোটের অবশ্য এখনও কিছুটা দেরি রয়েছে। সোমবার সবে পঞ্জাবের শাসক দল আম আদমি পার্টি রাজ্যসভার সদস্য পদে হরভজনের নাম প্রস্তাব করেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা সব ঠিকঠাক থাকলে এবং রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচনের হিসেব মিললে হরভজনের সাংসদ হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর তা যদি হয়, তবে হরভজন হবেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের দ্বিতীয় ক্রিকেটার যিনি রাজ্যসভার সদস্য হবেন। এর আগে ভারতীয় ক্রিকেট দলের আর এক জন সদস্যকেই সংসদের উচ্চতর কক্ষের সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল। তিনি ভারতীয় ব্যাটার সচিন তেণ্ডুলকর।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের অনেকেই এর আগে রাজনীতিতে এসেছেন। সাংসদও হয়েছেন। মহম্মদ আজহারউদ্দিন, নভজ্যোৎ সিংহ সিধু, কীর্তি আজাদ, চেতন চৌহানেরা রীতিমতো লোকসভার টিকিটে ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছেন। কিন্তু সাংসদ হিসেবে হরভজনের নির্বাচন প্রক্রিয়া হবে অন্যরকম। তাঁকে জনতার ভোটে নয়, জনতার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভোটের উপর নির্ভর করতে হবে।
তবে হরভজনের সাংসদ হওয়ার সম্ভাবনা তাতেও বিশেষ কমছে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তার দু’টি কারণ প্রথমত, ভোটের প্রক্রিয়া। সাধারণত রাজ্যসভার সাংসদ পদপ্রার্থী যে রাজ্যের তরফে মনোনীত হচ্ছেন, সেই রাজ্যর বিধায়কদের ভোটেই তাঁর নির্বাচিত হওয়ার কথা। দ্বিতীয়ত, সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা ভোটে পঞ্জাবের মোট ১১৭টি বিধানসভা আসনের ৯২টিই আপের দখলে। বিরোধীরা সব মিলিয়ে ২৫। এর মধ্যে কংগ্রেসের ১৮ জন বিধায়ক। বিজেপি আর অন্যান্য দল মিলিয়ে পেয়েছে সাতটি। ফলে ভোটে আপের বিধায়কদেরই পাল্লা ভারী থাকবে।
আগামী ৯ এপ্রিল পঞ্জাবের পাঁচটি রাজ্যসভার সদস্য পদ ফাঁকা হচ্ছে। ওই পাঁচটি আসনেই প্রার্থীর প্রস্তাব দিয়েছে আপ। হরভজন ছাড়াও আপ-এর তালিকায় রয়েছেন দিল্লির বিধায়ক রাঘব চাড্ডা, আইআইটি দিল্লির অধ্যাপক সন্দীপ পাঠক, লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা অশোক মিত্তল এবং শিল্পপতি সঞ্জীব আরোরা। বিধায়কদের ভোটের ভাগ-যোগ করে দেখা যাচ্ছে এঁদের মধ্যে খুব বেশি হলে একজন বাদ গেলেও যেতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেই সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। কারণ আপের প্রার্থীকে হারাতে হলে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধতে হবে বিজেপি বা শিরোমণি অকালি দলকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেই সম্ভাবনা কম।