প্রতীকী ছবি।
রাজস্থানের কোটায় এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বছর ষোলোর কিশোরী বাবা-মা এবং চার বোনের সঙ্গে উদ্যোগনগর থানা এলাকায় থাকত। সোমবার ঘর থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ছাত্রীর নাম কুমকুম। সে দশম শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবা ভেরুলাল রং মিস্ত্রির কাজ করে পরিবার চালান। ছাত্রীর দুই দিদি কাজ করেন। সোমবার যখন ঘটনাটি ঘটে সেই সময় ছাত্রীর বাবা কাজে গিয়েছিলেন। মা এবং দুই দিদিও বাড়িতে ছিলেন না। বোনের সঙ্গে বাড়িতে ছিল সে।
ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, বিকেলে কাজ থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। তাঁদের একটি ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। ছোট কন্যার কাছ থেকে জানতে পারেন কুমকুম অনেক ক্ষণ ধরে ঘরের ভিতরে রয়েছে। ভেরুলাল বেশ কয়েক বার কুমকুমকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু সাড়াশব্দ না পাওয়ায় সন্দেহ হয় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে তিনি দরজা ভেঙে ফেলেন। ভিতরে ঢুকতেই দেখেন কুমকুম গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিছানার উপর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তাতে বাবা-মাকে উদ্দেশ করে লেখা ছিল, ‘‘পরিবারের বোঝা হতে চাই না। তাই নিজেকে শেষ করলাম।’’ কন্যার ঝুলন্ত দেহ দেখার পর পুলিশকে খবর দেন ভেরুলাল। পুলিশ এসে কুমকুমের দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ তার দেহ নিয়ে যেতে চাইলে পরিবার তাতে সম্মতি দেননি। প্রাথমিক প্রক্রিয়া সেরে কুমকুমের দেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ।
কোটায় ছাত্রছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা গত বছরকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। ন’মাসের মধ্যে ২২ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন। গত বছরে যে সংখ্যাটি ছিল ১৫। নিট এবং জেইই-র মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে প্রতি বছর বহু ছাত্রছাত্রী কোটায় কোচিং সেন্টারগুলিতে ভর্তি হন। সেই কোটাতেই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া এমন ছাত্রছাত্রীদের কেউ না কেউ প্রতি মাসে আত্মহত্যা করছেন। কেন এত পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে দেশের শিক্ষা মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই ঘটনা রুখতে রাজ্য সরকার ছাত্রছাত্রীদের সম্প্রতি কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।