গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা দিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
সেপ্টেম্বেরও তাপমাত্রা কমার কোনও লক্ষণ নেই দিল্লিতে। সূর্যের তেজে পুড়ছে গোটা রাজধানী। সোমবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছিল। যা এই মরসুমের গড় তাপমাত্রা থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সেপ্টেম্বরে সর্বকালীন সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়িয়েছে। গত ৮৫ বছরের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সেপ্টেম্বরে এই পর্যায়ে তাপমাত্রা পৌঁছল। ১৯৩৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেপ্টেম্বরেও কেন এত প্রখর তাপ? কেন পুড়ছে দিল্লি?
এ প্রসঙ্গে অপর্যাপ্ত বৃষ্টি এবং দুর্বল মৌসুমী বায়ুকেই দায়ী করছে আবহাওয়া দফতর। তারা জানিয়েছে, অগস্টে প্রচুর বৃষ্টি হয় দিল্লিতে। কিন্তু এ বার ৬১ শতাংশ ঘাটতি ছিল। সেপ্টেম্বরেও এখনও পর্যন্ত তেমন বৃষ্টির দেখা মেলেনি রাজধানীতে। ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৩২.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গল এবং বুধবার আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিও হতে পারে। এই সপ্তাহে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রির আশপাশে।
শুধু দিল্লিই নয়, গোটা দেশে অগস্টে গড় তাপমাত্রা ছিল অনেকটাই বেশি। ১৯০১ সালে অগস্টের পর আবার ২০২৩ সালের অগস্টে আবার এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হল দেশ। দিল্লি ছাড়া রাজস্থানের চুরুতে সোমবার তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পিলানিতে ছিল ৩৯.৫ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের থেকে বেশি তাপমাত্রা ছিল অজমের, জয়পুর, কোটা, উদয়পুর, জোধপুর এবং বিকানেরে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এ বছর অগস্ট ছিল সবচেয়ে শুখা মাস। ৩৬ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি ছিল। তবে আবহবিজ্ঞানীদের আশা, যে পরিমাণ বৃষ্টি ঘাটতি ছিল অগস্টে, সেপ্টেম্বরে সেই ঘাটতি মিটবে। ৪ সেপ্টেম্বরের পর থেকে বৃষ্টি আবার ছন্দে ফিরবে।