পুলিশ সুপার সলবিন্দর সিংহ।
আমার দেওয়া তথ্যে যদি কোনও ভুল থাকে তা হলে আমাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক। আমি যে এখনও বেঁচে আছি এটাই কি আমার দোষ? এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাত্কার দিতে গিয়ে এই কথাগুলোই বলেন জঙ্গিদের হাতে অপহৃত গুরুদাসপুরের পুলিশ সুপার সলবিন্দর সিংহ।
পাঠানকোটে বিমান ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর থেকেই উঠে আসছে তা হলে নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক ছিল? কেন গুরুদাসপুরের পুলিশ সুপার সলবিন্দর সিংহ ফোন করে অপহরণের কথা জানানোর পরেও বিষয়টিতে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হল না? এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে পঞ্জাব পুলিশ প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সলবিন্দরের কথার মধ্যে সত্যতা আছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
কী হয়েছিল সে দিন?
সলবিন্দর সিংহ জানান, ৩১ ডিসেম্বর তাঁর গাড়িতে করে সীমান্ত লাগোয়া একটি ধর্মীয় স্থানে যাচ্ছিলেন তিনি। পুলিশের উর্দি না পরলেও নীল বাতি লাগানো গাড়িতেই সেখানে যাচ্ছিলেন। পথেই কয়েক জন উর্দিধারী ব্যক্তি তাঁর গাড়ি আটকায়। তার পর তাঁর হাত-পা-মুখ-চোখ বেঁধে গাড়ি-সমেত অপহরণ করে। ঘন অন্ধকার থাকার কারণে কত জন ছিল তা ঠাওর করতে পারেননি বলে সলবিন্দরের দাবি। তিনি এটাও বলেন, “আমি যে পুলিশ ওই উর্দিধারীরা তা বুঝতে পারেনি। পরে যখন বুঝতে পারে তারা ফিরে এসে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। হুমকিও দেয়, যদি আমি জানানোর চেষ্টা করি, এর মূল্য দিতে হবে।”
সলবিন্দর আরও জানান, তাঁর কাছে থাকা মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয় উর্দিধারীরা। সেই সময় তাঁর দেহরক্ষী ফোন করলে উর্দিধারীদের এক জন ফোনে উত্তর দেয়, “সালাম ওয়ালেকুম। ওই ফোন থেকেই তারা বুঝতে পারে আমি পুলিশ।”
তার পর তাঁকে ফেল দিয়ে যখন উর্দিধারীরা গাড়ি নিয়ে পালায়, সেই সময় পাশের একটি গ্রাম থেকে ফোন করে বিষয়টি থানায় জানান। কিন্তু তাঁর এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে করতেই অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। তত ক্ষণে জঙ্গিরা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ে।
এই সংক্রান্ত আরও খবর...
• সেনা ঘাঁটিতে এত অস্ত্র নিয়ে কী করে ঢুকল জঙ্গিরা?