NEET Scam 2024

কোন কেন্দ্র থেকে কী ভাবে প্রশ্নফাঁস? উদ্ধার হওয়া নিটের আধপোড়া প্রশ্নপত্রের সূত্রেই হদিস পেল সিবিআই

গত ২৩ জুন নিটকাণ্ডের তদন্তভার নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। তার পর থেকে তাদের হাতে এখনও পর্যন্ত এই কাণ্ডে গ্রেফতারির সংখ্যা ২১।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪ ১১:৪৪
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

কোন কেন্দ্র থেকে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষার (নিট-ইউজি) প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল? উদ্ধার হওয়া নিটের আধপোড়া প্রশ্নপত্রের সূত্র ধরেই মূলচক্রীর হদিস পেল সিবিআই। গত ২৩ জুন নিটকাণ্ডের তদন্তভার নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। তার পর থেকে তাদের হাতে এখনও পর্যন্ত এই কাণ্ডে গ্রেফতারির সংখ্যা ২১। যদিও বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে আলাদা আলাদা ভাবে ৩০ জনেরও বেশি গ্রেফতার হয়েছেন। কোথা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল, তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর থেকেই সেই উৎসে পৌঁছতে চাইছিল সিবিআই। অবশেষে নিটের একটি আধপোড়া প্রশ্নই তদন্তকারী আধিকারিকদের সেই উৎসে পৌঁছতে সাহায্য করল।

Advertisement

তদন্তভার নেওয়ার পর এই প্রথম বিবৃতি দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। নিট সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্যও প্রকাশ্যে এনেছে তারা। সিবিআই জানিয়েছে, নিট-ইউজির পরীক্ষার দিন, অর্থাৎ ৫ মে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের ওয়েসিস স্কুল থেকে। ঘটনাচক্রে, হাজারিবাগের নিট পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি এই স্কুল। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার পর থেকেই এই স্কুলের নাম উঠে এসেছিল। স্কুলে অধ্যক্ষ, সহ-অধ্যক্ষ এবং এক কর্মীকে আগেই গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।

সিবিআই সূত্রে খবর, নিটের বেশ কিছু আধপোড়া প্রশ্নপত্র উদ্ধার করেছিল তারা। সেই প্রশ্নপত্র খতিয়ে দেখার পর ঠিক কোন কেন্দ্র থেকে ফাঁস হয়েছিল, তা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, পঙ্কজ কুমার ওরফে আদিত্য ওরফে সাহিলের সঙ্গে মিলিত ভাবে ওয়েসিস স্কুলের অধ্যক্ষ, সহ-অধ্যক্ষ এবং এক কর্মী প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন বলে অভিযোগ। যে বাক্সের মধ্যে নিটের প্রশ্নপত্র স্কুলে এসেছিল, সেটিকে কন্ট্রোল রুমে রাখা হয়েছিল। ধৃতদের জেরা করে সিবিআই জানতে পেরেছে যে, সেই বাক্স স্কুলে আসার পরই পঙ্কজ কুমারকে ওই কন্ট্রোল রুমে প্রবেশ করার অনুমতি দেন অধ্যক্ষ এবং সহ-অধ্যক্ষ।

Advertisement

সিবিআই জানিয়েছে, সেই বাক্স খোলার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করেছিলেন অভিযুক্তরা। সেই বাক্স থেকে কিছু প্রশ্নপত্র বার করে নেওয়া হয়েছিল। তার পর সেগুলি সমাধান করার জন্য হাজারিবাগের বেশ কিছু ডাক্তারি পড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদের দিয়ে সেই প্রশ্নপত্র সমাধান (সলভার) করানো হয়। সেই উত্তরপত্র তার পর লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিট পরীক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করা হয়।

এই কাণ্ডে জড়িত সেই সব ‘সলভার’-এর বেশির ভাগকেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আরও বেশ কয়েক জনকে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। তবে কোন কোন পরীক্ষার্থীর কাছে সেই সমাধানপত্র পৌঁছেছিল, সেই সব পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে সিবিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement