হাদিয়া (বাঁ দিকে) এবং স্বামী শাফিন জেহান। ছবি: পিটিআই।
বিবাহের পূর্বে হাদিয়ার স্বামী শাফিনের আইএস যোগ ছিল। এমন দাবি করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে আইএসের দুই সদস্যের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তিনি বলে জানিয়েছে এনআইএ।
টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্তের পর এনআইএ-র অনুমান, কোনও ‘ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট’ থেকে হাদিয়া আর শাফিনের পরিচয় হয়নি। আইএসের দুই সক্রিয় সদস্য মনসিদ এবং মুনির-ই তাঁদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে এই দুই যুবকের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখতেন শাফিন। এই বিয়েতে ভূমিকা রয়েছে পি সাফবন নামে অন্য এক যুবকের। সে-ও মনসিদ এবং মুনিরের সঙ্গে কাজ করত।
এনআইএ সূত্রে খবর, এই সাফবন এবং মনসিদকে অমর অল হিন্দি আইএস মডিউল মামলায় ২০১৬ অক্টোবরে হেফাজতে নেওয়া হয়। আইএসের তত্ত্বাবধানে তারা দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গা টার্গেট করেছিল। এদের সঙ্গেই কলেজ জীবন থেকে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগ ছিল হাদিয়ার স্বামী শাফিনের। তবে সবটাই হাদিয়ার সঙ্গে শাফিনের বিয়ের আগের কথা। বিয়ের পরও একই ভাবে শাফিন আইএস সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন কি না তা এখনও পরিষ্কার নয় এনআইএ-র কাছে।
আরও পড়ুন: ঘটমান উপন্যাস হয়ে উঠেছে যেন তাঁর জীবন
কেরলের লভ জিহাদ মামলায় হাদিয়ার বাবা প্রথম থেকে দাবি করে আসছেন যে, তাঁর মেয়ের মগজধোলাই করে তাঁর ধর্মান্তকরণ হয়েছিল। এমনকী তাঁকে সিরিয়ায় পাঠানোর চেষ্টাও চলছে। তাঁর মেয়ে আসলে আইএসের ষড়যন্ত্রের শিকার। কিন্তু এত দিন শাফিনের আইএস যোগের কোনও প্রমাণ মেলেনি। এই প্রথম এনআইএ শাফিনের আইএস যোগের প্রমাণ পেল।