ছবি: শাটারস্টক
চলতি জানুয়ারি মাসের শুরুতেই মুম্বইয়ের একজন ব্যবসায়ী জালিয়াতদের মিসড কলের ফাঁদে পা দিয়ে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা খুইয়েছিলেন। কিন্তু এই ধরনের পদ্ধতির বাইরেও হ্যাকাররা এখন ব্যবহার করছে আরও অন্য নানান পদ্ধতি। বায়োমেট্রিক জালিয়াতির মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও করে দেওয়ার এই পদ্ধতিতে বিপদ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
আধার কার্ড তৈরির সময় আঙুলের ছাপ বা চোখের রেটিনা স্ক্যান করে যে তথ্য জমা হয়েছিল সরকারি দফতরে, সেই তথ্য ব্যবহার করেই এই নয় জালিয়াতির পথ খুঁজছে দুষ্কৃতীরা। এরকমই একটি চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে দিল্লিতে।
সম্প্রতি দিল্লির বাসিন্দা বছর চল্লিশের বিক্রম তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ পান, তাঁর আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে একটি মাইক্রো এটিএম থেকে ১০০০ টাকা তোলা হয়েছে। মাইক্রো এটিএম থেকে এটিএম কার্ডের বদলে আধার কার্ডের সাহায্যেও টাকা তোলা যায়। এ ক্ষেত্রে পিন-এর বদলে ব্যবহার করা হয় ফিঙ্গার প্রিন্ট। এর ঠিক এক সপ্তাহ পরেই আরও একটি মেসেজ পান তিনি। বিহারের একটি এটিএম থেকে ৭৫০০ টাকা তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোন রাজ্যের পুলিশ কী বাইক ব্যবহার করেন জানেন?
এর পরেই তিনি নির্দিষ্ট দফতরে যোগাযোগ করেন এবং নিজের বায়োমেট্রিক তথ্যের ব্যবহার বন্ধ করবার আবেদন জানান। মজার কথা হল, পেশাগত ভাবে ওই ব্যক্তি নিজেও আধার কার্ড তৈরির কাজে যুক্ত। সেই আধার কার্ডের মাধ্যমেই তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, আধার কার্ড আদৌ কতটা সুরক্ষিত!
আরও পড়ুন: প্রিয়ঙ্কা শূর্পনখা আর রাহুল হলেন রাবণ, বিজেপি নেতার কথায় ফের বিতর্ক