গুরমেহের কউর। —ফাইল চিত্র।
তাঁকে কেন্দ্র করেই নতুন করে দানা বেঁধেছিল আন্দোলন। তিনি ও তাঁর টুইট হয়ে উঠেছিল শাসক বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রতীক। কিন্তু আজ আচমকাই সেই আন্দোলন থেকে সরে এলেন গুরমেহর কৌর। যা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হলেও বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়ারা আজ ফের পথে নামেন এবিভিপির দাদাগিরির বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি, লাগাতার ধর্ষণ ও খুনের হুমকি পাওয়াতেই পঞ্জাবে উদ্বিগ্ন পরিবারের কাছে চলে গিয়েছেন তাঁদের আন্দোলনের মুখ। একই অভিযোগ কংগ্রেসেরও।
গুরমেহর আজ সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ টুইটারে জানান, তিনি আন্দোলন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। তাঁকে যেন একা থাকতে দেওয়া হয়। আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য সকলকে অভিনন্দনও জানান তিনি। নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কারণ হিসেবে গুরমেহর লিখেছেন, ‘‘আমার মতো ২০ বছরের মেয়ের পক্ষে এর থেকে বেশি চাপ নেওয়া সম্ভব নয়।’’
চাপে দিল্লি পুলিশও। বিরোধীদের সমালোচনার মুখে আজ দুপুরে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। গুরমেহরের বন্ধুরা মনে করেছেন, এমনিতেই মানসিক ভাবে চাপে ছিলেন তিনি। পুলিশ বা কেন্দ্র তবু গুরমেহরের পাশে দাঁড়াতে সে ভাবে উদ্যোগী হয়নি। কংগ্রেসের অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুনের হুমকিতে ভীত হয়েই দিল্লি ছেড়েছেন ওই ছাত্রী। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, ‘‘গুরমেহর কোথায় থাকবেন বা থাকবেন না, তা নিয়ে চাপ দেওয়া উচিত নয়।’’