প্রতীকী ছবি।
বিস্কুট, চকোলেট এবং টাকার লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসতেন। তার পর তাদের ধর্ষণ করতেন। আবার সেই ঘটনার ভিডিয়োও করতেন। একের পর এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গুজরাতের খেড়ায় এক রংমিস্ত্রিকে দিন কয়েক আগেই গ্রেফতার করে পুলিশ। এ বার অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু জিনিসও উদ্ধার করে তারা। তার মধ্যে একটি মোবাইলও রয়েছে। সেই মোবাইলে একশোরও বেশি অশ্লীল ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন এক তদন্তকারী আধিকারিক।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তি মোবাইলে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড করতেন। আর সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে সব ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখাতেন নাবালিকাদের। নাদিয়াদে একাই থাকতেন তিনি। বেছে বেছে নাবালিকাদের তাঁর লালসার শিকার বানাতেন বলে অভিযোগ। ফাঁদে ফেলার জন্য কখনও টাকা, কখনও দামি চকোলেট, কখনও আবার বিস্কুটের লোভ দেখাতেন। আর সেই লোভেই নাবালিকারা রংমিস্ত্রির বাড়িতে গেলেই তাদের আটকে রেখে ধর্ষণ করতেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার ভিডিয়োও করতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, একশোটিরও বেশি ভিডিয়ো উদ্ধার হয়েছে অভিযুক্তের মোবাইল থেকে। সেগুলি পরীক্ষার জন্য ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ১৩ অক্টোবর। এক নাবালিকার বাবা-মা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকার শরীর কয়েক দিন ধরেই ভাল যাচ্ছিল না। কী হয়েছে তা জানার চেষ্টা করে তার বাবা-মা। তখনই সে ঘটনাটি জানায়। এর পরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা-মা। ঘটনাচক্রে, পর পর কয়েক দিনের মধ্যেই আরও তিন নাবালিকার অভিভাবক পুলিশে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত হিসাবে একই ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয় সব অভিযোগপত্রে। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই রংমিস্ত্রিকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তকে জেরা করে এবং তাঁর ঘরে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, চার নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রংমিস্ত্রির বিরুদ্ধে।