ছবি পিটিআই
করোনাকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের যে দৃষ্টান্ত তৈরি করা হয়েছে, তা কি গুজরাতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য? করোনা মোকাবিলায় গুজরাতের সার্বিক ব্যর্থতার ফিরিস্তি দিয়ে আজ এই প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস।
করোনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক অ্যাডভাইসারি পাঠিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল পাঠিয়ে তার পরে তা নয়াদিল্লি জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। তৃণমূল তখনই বলেছিল হয়েছিল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি নিজের রাজ্যের দিকে তাকিয়ে দেখেছেন? আজ মমতার দলের সেই অবস্থানেরই প্রতিধ্বনি করে কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জন্য যে পর্যবেক্ষণ, মাপদণ্ড, বিশেষণ এবং শর্ত আরোপ করা হয়েছে, সেগুলি কি গুজরাত সরকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়? পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের মতো গুজরাতের রাজ্যপালও কেন সে রাজ্যের সরকারের কাজ নিয়ে মাথা গলানোর নীতি নিচ্ছেন না?’’
সাংবাদিক বৈঠকে সিঙ্ঘভির অভিযোগ, গুজরাতের স্বাস্থ্য পরিষেবা তলানিতে। সেখানকার পরিকাঠামো জঘন্য। করোনা মোকাবিলায় গুজরাত সরকারের দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং সক্রিয়তার অভাব প্রকট। তাঁর বক্তব্য, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজের রাজ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামো অত্যন্ত খারাপ। এত ক্ষমতাশালী নেতা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রকেরা যদি নিজেদের এলাকাতেই গরিব মানুষকে চিকিৎসা দিতে না পারেন, তা হলে দেশের কোটি কোটি মানুষকে কী ভাবে করোনা থেকে বাঁচাবেন তাঁরা।’’
শনিবারই করোনা মোকাবিলায় গুজরাত সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছে হাইকোর্ট। করোনা চিকিৎসায় আমদাবাদ সিভিল হাসপাতালের অবস্থা অন্ধকূপের চেয়েও খারাপ বলে মন্তব্য করেছে গুজরাত হাইকোর্ট। সে প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, গুজরাত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেখানকার সরকারি হাসপাতালগুলি সম্পর্কে কড়া নির্দেশ জারি করতে বাধ্য হয়েছে। চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সরঞ্জাম, ভেন্টিলেটরের অভাব, আইসিইউ এবং বেডের অভাবের কথা বলা হয়েছে। অভিষেকের প্রশ্ন, “প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে বিনীত ভাবে প্রশ্ন করতে চাই, তাঁদের নিজেদের রাজ্যে যা চলছে, সে ব্যাপারে তাঁরা কি অবহিত? অবহিত হলে তাঁরা কি বিষয়টিতে একবারের জন্যও হস্তক্ষেপ করেছেন বা গুজরাত সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন? নাকি বিজেপি সদস্য বলে ওঁদের করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে?’’