গুজরাতে দুর্ঘটনার পর পুরনো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ছবি: টুইটার।
ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে ভোটমুখী গুজরাত। রবিবার সন্ধ্যায় মোরবিতে আচমকাই ভেঙে পড়ে ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতাব্দী প্রাচীন ঝুলন্ত সেতু। যদিও ৬ দিন আগেই এটির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষ হয়েছিল। সোমবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৪০।
এই ঘটনার পরেই নেটমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, সেতুর উপর অসংখ্য মানুষ জড়ো হয়ে লাফালাফি করছেন।দাবি করা হয়, গুজরাতে দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা আগে ভেঙে পড়া সেতুর ভিডিয়ো সেটি। এ ভাবেই সেতুতে সকলে লাফালাফি করছিলেন। তাই সেতুটি ভেঙে পড়ে।
ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যায়, কাতারে কাতারে লোক দাঁড়িয়ে ওই ঝুলন্ত সেতুতে। তাঁদের কেউ ছোটাছুটি করছেন, আবার কেউ লাফালাফি করছেন। আর তার জেরে দুলছে সেতুটি। এমনই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ওই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। সংবাদ সংস্থা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শনিবার এই ছবি ধরা পড়েছিল ওই সেতুটিতে। সেখানে সেদিন প্রায় শ’খানেক মানুষের ভিড় ছিল। আর তার ঠিক পরের দিনই এই বিপর্যয় ঘটল।
এনডিটিভি সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে ভেঙে পড়ে সেতুটি। ওই সময় ছটপুজো উপলক্ষে প্রায় ৫০০ মানুষের জমায়েত হয়েছিল। তা হলে কি অতিরিক্ত মানুষের চাপ সামলাতে না পেরেই ভেঙে পড়ল সেতুটি? জানা গিয়েছে, সংস্কারের পর গত ২৬ অক্টোবর সেতুটি জনসাধারণের জন্য আবার খুলে দেওয়া হয়েছিল। আর তার ছ’দিনের মাথাতেই এত বড় বিপর্যয় ঘটল।
প্রাণ বাঁচাতে কেউ কেউ সেতুর ভাঙা অংশের রেলিং ধরে ঝুলতে থাকেন। আবার কেউ নদীতে সাঁতরে ডাঙায় ওঠার চেষ্টা করেন। জোরকদমে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, মৃতদের মধ্যে অধিকাংশ মহিলা ও শিশু।
এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন। মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে গুজরাত সরকার।
(এই প্রতিবেদনটি প্রথম বার প্রকাশের সময় একটি ভিডিয়ো যুক্ত করা হয়েছিল। পরে জানা যায়, ভিডিয়োটি রবিবারের নয়। প্রতিবেদনটি সংশোধন করা হল। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত।)