মোদী, শাহ এবং নড্ডার পরীক্ষার ফল জানা যাবে ৮ ডিসেম্বর। ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ টালবাহানার পরে অবশেষে গুজরাতে বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়েছে, আগামী ১ এবং ৫ ডিসেম্বর দু’দফায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যে ভোটগ্রহণ হবে। গণনা হবে ৮ ডিসেম্বর।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গুজরাতের ১৮২টি আসনের মধ্যে ৮৯টিতে ভোটগ্রহণ হবে ১ ডিসেম্বর। বাকি ৯৩টিতে ৫ ডিসেম্বর। ৯ থেকে ১৪ নভেম্বর প্রথম দফার জন্য এবং ১০ থেকে ১৭ নভেম্বর দ্বিতীয় দফার জন্য মনোনয়ন পেশের কাজ চলবে।
ভোটগ্রহণ ১২ নভেম্বর হয়ে গেলেও গুজরাতের সঙ্গেই গণনা হবে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার রাজ্য হিমাচল প্রদেশে। গত ১৪ অক্টোবর হিমাচলে বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা করেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার । কিন্তু জল্পনা থাকলেও ওই দিন গুজরাতের ভোট ঘোষণা হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলকে কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের সুবিধা পাইয়ে দিতেই এই সিদ্ধান্ত।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ৯ এবং ১৪ ডিসেম্বর দু’দফায় গুজরাতে বিধানসভা ভোট হয়েছিল। পাহাড়ি রাজ্য হিমাচলে শীত পড়ার আগেই ৯ নভেম্বর বিধানসভা ভোট হয়। দু’রাজ্যেই ভোটের গণনা হয়েছিল একই সঙ্গে, ১৮ ডিসেম্বর। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ২০১৭ সালেও গুজরাত এবং হিমাচলে আলাদা ভাবে ভোটের ঘোষণা করা হয়েছিল। হিমাচলের ভোট ঘোষণার দু’সপ্তাহ পরে গুজরাতের ভোট ঘোষণা হয়। যদিও ১০ বছর আগে, ২০১২ সালে ইউপিএ সরকারের জমানায় একই দিনে গুজরাত এবং হিমাচল প্রদেশের ভোট ঘোষণা হয়েছিল।
২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে গুজরাতে ৯৯টি আসনে জিতে টানা পঞ্চম বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। কিন্তু ১৯৯০ সালের পর সেটাই ছিল বিজেপির সবচেয়ে কম আসনপ্রাপ্তি। অন্য দিকে, ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে ৭৭টি আসনে জিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেককেই চমকে দিয়েছিল কংগ্রেস। নির্দল এবং অন্যেরা পেয়েছিল ৬টি আসন।
এ বার অবশ্য অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ) জোরকদমে ভোটের ময়দানে নেমেছে। সম্প্রতি সুরত-সহ কয়েকটি শহরের পুরভোটে ভাল ফল করেছে আপ। এর পর কেজরীওয়াল ধারাবাহিক ভাবে গুজরাত সফর শুরু করেছেন। তাঁর দাবি, বিধানসভা ভোটেও বিজেপির মূল লড়াই হবে আপের সঙ্গে। অন্য দিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী কন্যাকুমারী থেকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করলেও তাঁর পদযাত্রার পথে গুজরাত বা হিমাচল নেই। মোরবীতে ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনার প্রভাবও বিধানসভা ভোটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।