—প্রতীকী ছবি।
ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা নিয়ে কারচুপি ঠেকাতে যাত্রিবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে জিপিএস নিয়ন্ত্রিত ‘রিয়েল টাইম ট্রেন ইনফরমেশন সিস্টেম’ (আরটিটিআই) বসানোর কাজ করছে রেল। এ বার পণ্যবাহী ট্রেনও ওই ব্যবস্থার আওতায় আসতে শুরু করেছে। দেশের অন্যান্য জ়োনের মতো পূর্ব রেলও সেই কাজ শুরু করেছে বলে খবর। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ইলেকট্রিক এবং ডিজেল ইঞ্জিন মিলে প্রায় ৩৪৯টি ইঞ্জিনে ওই প্রযুক্তি বসানো হয়েছে। ওই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কোনও ট্রেন কোথায় কতটা দেরিতে চলছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য রেলের সময়জ্ঞাপক অ্যাপে নির্ভুল ভাবে পাওয়া যায়।
রেলের খবর, ট্রেন চলাচলের হিসাব দীর্ঘদিন ধরে রেলকর্মীরা কন্ট্রোল অফিস অ্যাপ্লিকেশনে বিভিন্ন জ়োনের পক্ষ থেকে নিজেরা দিতেন। বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে, দফতরের খাতায়-কলমে ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা ঠিক রাখতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল তথ্য দেওয়া হত। সেই তথ্য ন্যাশনাল ট্রেন এনকোয়েরি সিস্টেমের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ প্রকাশ করত। তার ফলে বাস্তবের সময় এবং রেলের খাতায়-কলমের সময়ের মধ্যে ফারাক হত। বহু ক্ষেত্রে যাত্রীরা দেখতেন, বাস্তবে গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই রেলের হিসাবে তাঁরা গন্তব্যে ‘পৌঁছে’ গিয়েছেন।
রেলকর্তাদের দাবি, ওই ত্রুটি দূর করতেই আরটিটিআই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। নতুন ব্যবস্থায় ট্রেনের ইঞ্জিনের অবস্থান মিলিয়ে দেখে যন্ত্র নিজেই কন্ট্রোল অফিসকে ঠিক ঠিক তথ্য দেয়। সেখান থেকেই রেলের অন্যান্য ব্যবস্থা ওই তথ্য নিয়েব্যবহার করে। ফলে ভুল হওয়ার আশঙ্কা নেই।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, এ পর্যন্ত তাদের ৩৪৯টি লোকোমোটিভের মধ্যে ১৬৭টি হাওড়ার ইলেকট্রিক লোকো শেডের অধীনে থাকা বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন। এ ছাড়াও ১১৫টি ইঞ্জিন আসানসোলের ইলেকট্রিক লোকো শেডের অধীনে, ৩০টি শিয়ালদহ লোকো শেড, ২০টি বর্ধমান ডিজেল শেড, ১৪টি হাওড়া ডিজ়েল শেড এবং তিনটি জামালপুর ডিজেল শেডের অধীনে। বিভিন্ন শেড মিলে এখনও প্রায় শতাধিক ইঞ্জিনে এখনও ওই ব্যবস্থা বসানো বাকি। তবে তারা দ্রুত এই কাজ শেষ করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শহরতলির বেশির ভাগ ট্রেনেই ওই ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে বলেও রেল দাবি করেছে।