একাধিক ইউটিইউব চ্যানেল ও ওয়েবসাইট বন্ধ। ফাইল চিত্র।
ভারত বিরোধী ২০টি ইউটিউব চ্যানেল ও দু’টি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিল সরকার। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভারত বিরোধী ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগ ওই চ্যানেল ও ওয়েবসাইটগুলির বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক সূত্রে খবর, ওই ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলগুলিতে সম্প্রচারিত তথ্য দেশের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক এবং তথ্যগত ভাবে ভুলে ভরা।
ভারত বিরোধী কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেওয়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভারত বিরোধী এবং ভুয়ো খবর সম্প্রচার করার কারণে ওই ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই ইউটিউব চ্যানেল ও ওয়েবসাইটগুলি থেকে ভারতীয় সেনা, রাম মন্দির, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং সদ্য প্রয়াত সিডিএস বিপিন রাওয়তকে নিয়ে একের পর এক ভুল তথ্য সংবাদ আকারে পরিবেশিত হচ্ছিল।
মন্ত্রক সূত্রে খবর, পাকিস্তান স্থিত নয়া পাকিস্তান গ্রুপ (এনপিজি)-এর অন্তর্গত একাধিক ইউটিউট চ্যানেল, সব মিলিয়ে যার দর্শক সংখ্যা ৩৫ লক্ষের উপর, ধারাবাহিক ভাবে ভারত বিরোধী ভুয়ো খবর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রক সূত্রে এমনও দাবি করা হয়েছে, নয়া পাকিস্তান গ্রুপের একাধিক ইউটিউব চ্যানেল নিয়ন্ত্রণ করেন পাকিস্তানের নিউজ চ্যানেলের কয়েক জন উপস্থাপক।
সরকারি সূত্রের খবর, ওই ইউটিউব চ্যানেলগুলি থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কৃষক আন্দোলন ও সিএএ বিরোধী আন্দোলনের ছবি প্রচার করে ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার চেষ্টা চলছিল। আসন্ন পাঁচ রাজ্যের ভোটেও এমনই উদ্দেশ্য ছিল চ্যানেল ও ওয়েবসাইটগুলির। কিন্তু তার আগেই তাদের সম্প্রচার বন্ধ করে দিল কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সরকার যে ২০টি ইউটিউব চ্যানেল ও দু’টি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে সেগুলি হল, পাঞ্চ লাইন, ইন্টারন্যাশনাল ওয়েব নিউজ, খালসা টিভি, নেকেড ট্রুথ, ৪৮ নিউজ, ফিকশনাল হিস্টোরিক্যাল ফ্যাক্টস, পঞ্জাব ভাইরাল, নয়া পাকিস্তান গ্লোবাল, কভার স্টোরি, গো গ্লোবাল, ই-কমার্স, জুনেইদ হালিম অফিশিয়াল, তৈয়াব হানিফ, জৈন আলি অফিশিয়াল, মহসিল রাজপুত অফিশিয়াল, কানিজ ফতিমা, সদাফ দুরানি, মিয়া ইমরান, আহমেদ, নাজাম উল হাসান, বাজওয়া এবং নিউজ ২৪।