তিন তালাক নিয়ে এ বার অধ্যাদেশ আনার কথা ভাবছে কেন্দ্র সরকার।
সরকার পক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় বিলটি লোকসভায় পাশ হয়েছে। কিন্তু বিরোধী দলগুলির বিরোধিতায় সেটি এখনও রাজ্যসভার গণ্ডি পেরোতে পারেনি। তার মধ্যে আরও একটি বাজেট অধিবেশনও পার হয়ে গিয়েছে। হট্টগোলের জেরে সংসদই চলেনি। সামনের বছর লোকসভা ভোটের আগে সংসদের অধিবেশন সুষ্ঠু ভাবে চলার আর তেমন সম্ভাবনা দেখছে না নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই পরিস্থিতিতে অধ্যাদেশ আনার কথাই বিবেচনা করা হচ্ছে।
তবে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ জানিয়েছেন, কংগ্রেস অধ্যাদেশেরও বিরোধিতা করবে। অধ্যাদেশ আনলে সেটি সংসদে পাশ করাতে হয়, না হলে কেন্দ্রকে ফের অধ্যাদেশ আনতে হবে।
সেই সূত্র ধরে আজাদ বলেন, ‘‘এনডিএ সরকার ফের বিলটি সংসদের যে কোনও কক্ষে আনলে কংগ্রেস এর বিরোধিতা করবে। কারণ, এই আইনটি নৃশংস। স্বামী ও স্ত্রী-র মধ্যে বিভাজন তৈরি করে।’’
আসলে তাৎক্ষণিক তালাক বন্ধ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় আসার পর মোদী সরকার এই বিলটি নিয়ে আসে। যেখানে তিন তালাককে ফৌজদারি অপরাধের তকমা দিয়ে তিন বছর কারাদণ্ডের সংস্থান রাখা হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে হট্টগোলের মধ্যেও ধ্বনি ভোটে বিলটি পাশ করিয়ে নেয় সরকার। কিন্তু রাজ্যসভায় সরকারের গরিষ্ঠতা না-থাকায় সেটি আটকে যায়।
বিজেপির মধ্যে অবশ্য অধ্যাদেশ আনা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। এক পক্ষ চায়, অধ্যাদেশ এনে অথবা যৌথ অধিবেশন ডেকে লোকসভার আগেই বিলটিকে পাশ করাতে। আর এক পক্ষের মত—অধ্যাদেশ না এনে রাহুল গাঁধী এতে বাধা দিচ্ছেন বলে রাজনৈতিক প্রচার জোরদার করা। দরকার হলে বিরোধীদের দাবি মাফিক প্রস্তাবিত আইনটির সংশোধনও করা যেতে পারে।