—প্রতীকী ছবি।
টোম্যাটোর দাম কিলোগ্রাম প্রতি ১০০ টাকা পেরিয়ে গিয়েছে। তার দাম কমানোর উপায় খুঁজতে মোদী সরকার এ বার প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। প্রতিযোগিতার নাম ‘গ্র্যান্ড টোম্যাটো চ্যালেঞ্জ’।
কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক আজ থেকে এই প্রতিযোগিতা চালু করেছে। পড়ুয়া থেকে শিল্প মহল, কৃষক থেকে কৃষিবিজ্ঞানী মোদী সরকারকে টোম্যাটোর দাম কমানোর উপায় জানাতে পারবেন। পছন্দ মতো উপায় বাতলাতে পারলে মিলবে পুরষ্কার। কেন্দ্রীয় উপভোক্তা দফতরের বক্তব্য, প্রতি বছরই জুন-জুলাই এলে টোম্যাটোর দাম আকাশছোঁয়া হয়। কোনও ভাবেই তা ঠেকানো যায় না। এই ‘জটিল’ সমস্যার সমাধান খুঁজতেই ‘গ্র্যান্ড টোম্যাটো চ্যালেঞ্জ’-এর আয়োজন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক সচিব রোহিতকুমার সিংহের দাবি, এর আগে পেঁয়াজের দামে লাগাম পরিয়ে রাখার উপায় খুঁজতেও একই রকম প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে নানা রকম অভিনব পন্থার সন্ধান মিলেছে। এখন তা রূপায়ণের চেষ্টা চলছে।
তা হলে কি প্রতিযোগিতা শেষ হওয়া পর্যন্ত টোম্যাটোর দাম কমার জন্য অপেক্ষা করতে হবে?
উপভোক্তা বিষয়ক সচিবের বক্তব্য, ‘‘একেবারেই তা নয়। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই দাম কমতে শুরু করবে। মাস খানেকের মধ্যে তা স্বাভাবিক জায়গায় চলে আসবে।’’ সরকারি হিসেবেই, কলকাতার বাজারে টোম্যাটোর দাম ১০০ টাকার উপরে ছিল। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী থেকে বিরোধী নেতারা মোদী সরকারকে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নিশানা করেছেন। সচিবের বক্তব্য, প্রতি বছরেই টোম্যাটোর দাম জুন মাসে বেড়ে যায়। টোম্যাটো খুব তাড়াতাড়ি পচে যায়। আবহাওয়ার তারতম্য হলেই তার ফলনে সমস্যা দেখা দেয়। বেশি দিন মজুত করা যায় না। খুব দূরে নিয়ে যাওয়া যায় না। জুন থেকে অগস্ট ও অক্টোবর-নভেম্বর মাসে টোম্যাটোর ফলন কম হয়। ফলে দাম বাড়ে। কী ভাবে টোম্যাটো আরও বেশি দিন মজুত করা যায়, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বা তার মানোন্নয়ন করা হয়, তার খোঁজেই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।