আমার-আপনার ‘সোনার দিন’ এসে গেল! সোনা নিয়ে আজ তিনটি নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
স্বাধীনতার ৬৯ বছরে দেশে এই প্রথম চালু হল স্বর্ণমুদ্রা। চালু হল ঘরের সোনাদানা ব্যাঙ্কে জমা রেখে তার ওপর সুদ পাওয়ার প্রকল্প।
দেশের প্রথম স্বর্ণমুদ্রার এক পিঠে রয়েছে অশোক চক্র। অন্য পিঠে ‘জাতির জনক’ মহাত্মা গাঁধীর মুখ। প্রাথমিক ভাবে বাজারে ছাড়া হচ্ছে পাঁচ ও দশ গ্রাম ওজনের স্বর্ণমুদ্রা।
একই সঙ্গে ঘরের সোনাদানা ব্যাঙ্কে জমা রেখে বাড়তি রোজগারের যে প্রকল্পের উদ্বাধন করলেন আজ প্রধানমন্ত্রী, তার লক্ষ্য, ঘরের আলমারি বা ব্যাঙ্কের লকার অথবা, মন্দিরে বিগ্রহের গায়ে থাকা সোনাকে ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসা। যাতে সোনা আমদানির পরিমাণ কমানো যায়। কমানো যায় রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণও। দেশে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরে জমানো অন্তত কুড়ি হাজার টন সোনা ব্যাঙ্ক ব্যবস্থায় আনা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই প্রকল্পে সর্বাধিক ১৫ বছর পর্যন্ত সোনা জমা নেবে ব্যাঙ্ক। আর তার বিনিময়ে আমানতকারীকে বছরে সওয়া দুই বা আড়াই শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে।
বাজার থেকে সোনা কেনার হিড়িক কমাতে আজ চালু করা হল নতুন একটি স্বর্ণ-বন্ড প্রকল্পও। যে প্রকল্পে দেওয়া হবে পৌনে তিন শতাংশ সুদ।
সোনা আমদানির জন্য ২০১৩ সালে দেশের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার কোটি ডলার। সেটা ছিল একটা ‘রেকর্ড’। গত বছরে তা অনেকটা কমে হয়েছিল তিন হাজার চারশো কোটি ডলার।
এই সংক্রান্ত আরও খবর
সোনা জমা প্রকল্পে কী কী থাকছে?
সোনা জমা প্রকল্পের সুবিধা কী কী?