ইঞ্জিনের জোগান বন্ধ থাকায় ৫৪টি এয়ারবাসের মধ্যে ২৮টির উড়ান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে গো ফার্স্ট। —ফাইল ছবি।
বিপুল ঋণের বোঝা নিয়ে দেউলিয়া আদালতের দ্বারস্থ হলেও বিমান সংস্থা গো ফার্স্টের সরকারি সাহায্য জুটবে কি? গো ফার্স্টের টিকিট বিক্রি বন্ধের নির্দেশের পর এ বার এই প্রশ্ন উঠছে। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভিকে সিংহ মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ইঞ্জিনের জোগান স্বাভাবিক না হলে গো ফার্স্টের পক্ষে সরকারি সাহায্য মেলা কঠিন।
ওয়াদিয়া গোষ্ঠীর মালিকানাধীন এই বিমান সংস্থাটির সমস্যা বাড়ছে বই কমছে না। ১১,৪৬৩ কোটি টাকার ঋণে জর্জরিত তারা। তার উপরে সংস্থাটির বিমানে ইঞ্জিনের জোগানদার সংস্থা প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি (পিঅ্যান্ডডব্লিউ) সেগুলির সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। যার জেরে ৫৪টি এয়ারবাসের মধ্যে ২৮টি বিমানের উড়ান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে গো ফার্স্ট। অন্য দিকে, সোমবার একটি নির্দেশে তাদের অবিলম্বে সরাসরি অথবা এজেন্ট মারফত টিকিট বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। পাশাপাশি, গো ফার্স্টকে শোকজ় নোটিস দিয়ে ডিজিসিএ জানতে চেয়েছে, কেন নিরাপদ, দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য উড়ান পরিষেবা দিতে ব্যর্থ তারা? এ নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ জানাতে হবে তাদের। ভবিষ্যতে গো ফার্স্টের হাতে বিমান পরিষেবা দেওয়ার শংসাপত্র (এয়ার অপারেশন সার্টিফিকেট বা এওসি) থাকবে কি না, তা এই শোকজ় নোটিসের যথাযথ জবাবের উপর নির্ভর করছে। ওই শংসাপত্র ছাড়া উড়ানের অধিকার থাকে না বিমান সংস্থার। ইতিমধ্যেই সংস্থা বাঁচাতে দেউলিয়া আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সংস্থাটি। তবে ইঞ্জিনের জোগান ছাড়া সরকারি সাহায্য মেলাও সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ভিকে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘গো ফার্স্টের সমস্যা হল যে, তাদের বিমানের ইঞ্জিন প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনির। কোভিডের সময় থেকেই যে সংস্থার ম্যানেজ়মেন্ট নানা সমস্যায় জর্জরিত। ফলে যে গতিতে ইঞ্জিনের উৎপাদন করা উচিত, তা করতে পারছে না তারা।’’
এই আবহে সরকারি সাহায্য কি পাবে গো ফার্স্ট? ভিকে-র মন্তব্য, ‘‘সমস্যাসঙ্কুল অবস্থা থেকে (গো ফার্স্টকে) টেনে তোলা কী ভাবে সম্ভব? প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি-র ইঞ্জিন কোথায়? এ সমস্যার সমাধান হলে তবেই সাহায্যের কথা ভাবা যাবে।’’