National News

মার্চেই গা পুড়ছে দক্ষিণের, ১০ দিন পর ফের শৈত্যপ্রবাহ উত্তর ভারতে

তার জ্বরও ৪০ (ডিগ্রি সেলসিয়াস) পেরিয়েছে। একই অবস্থা তিরুপতি, কুড্ডাপ্পা-সহ অন্ধ্রপ্রদেশের রায়লসীমার বেশ কয়েকটি এলাকার। তাপমাত্রা মধ্য চল্লিশেরও উপরে! চলছে ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৯ ১৮:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

মার্চের প্রথম সপ্তাহেই প্রবল জ্বরে হাঁসফাঁস করেছে তামিলনাড়ুর ধর্মাপুরী। পারদ চড়েছে ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। হু হু করে আসা জ্বরে কাবু ভেলোর, থিরুথানি, তিরুচিরাপল্লি, সালেম, মাদুরাই। কাহিল কারুর পারামতীও। তার জ্বরও ৪০ (ডিগ্রি সেলসিয়াস) পেরিয়েছে। একই অবস্থা তিরুপতি, কুড্ডাপ্পা-সহ অন্ধ্রপ্রদেশের রায়লসীমার বেশ কয়েকটি এলাকার। তাপমাত্রা মধ্য চল্লিশেরও উপরে! চলছে ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহ। বজ্রপাত ও ভূকম্পের পর দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় তাপপ্রবাহেই।

Advertisement

মার্চের গোড়াতেই যখন গা পুড়ে যাচ্ছে দক্ষিণ ভারতের, এ মাসের মাঝামাঝি তখন হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি, কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় ঠকঠক করে কাঁপতে হবে উত্তর ভারতকে। চলবে শৈত্যপ্রবাহ। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে। মার্চের ৬ এবং ১১ তারিখে তুষারপাত হবে হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর-সহ পশ্চিম হিমালয়ের লাগোয়া এলাকাগুলিতে। সহজ কথায়, ওই সময় ঠান্ডা লাগবে উত্তর ভারতের। জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর।

পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আদতে একটা ঝড়। যার কেন্দ্রে থাকে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার উৎপত্তি হয় ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায়। যা এসে আছড়ে পড়বে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে।

Advertisement

আবহাওয়াও কেন এই ভাবে দু’টুকরো করে দিল ভারতকে?

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর বলছে, বিশ্ব উষ্ণায়নের দৌলতে জলবায়ু পরিবর্তনই তার অন্যতম কারণ। এ বার শৈত্যপ্রবাহ গোটা উত্তর ভারত জুড়েই ছিল ফেব্রুয়ারিতে। ওই সময় ভারতে ঢোকা পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্যই। তবে সেই ঝঞ্ঝা ছিল দুর্বল।

আরও পড়ুন- দূষণ পরীক্ষায় প্রতারণা করায় ৫০০ কোটি টাকা জরিমানা ফোক্সভাগেনকে​

আরও পড়ুন- ৯০ বছর আগে হারানো আইনস্টাইনের পান্ডুলিপিই পথ দেখাবে সৃষ্টিরহস্যের জট খুলতে?​

সাধারণত, ফি বছর ডিসেম্বরে তিন থেকে পাঁচটি শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ধেয়ে আসে উত্তর ভারতে। কিন্তু গত ডিসেম্বরে তা হয়েছে মাত্র একটি। আর সেটাও খুব একটা শক্তিশালী ছিল না। তার এলাকাও ছিল ছোট। তা জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ আর উত্তরাখণ্ডেই ছিল সীমাবদ্ধ।

আবহবিদরা বলছেন, ‘‘যে জন্য এ বার অস্বাভাবিক পোলার ভর্টেক্স হয়েছে আমেরিকার একটি বড় অংশ জুড়ে, সেই কারণেই এ বার উত্তর ভারতে শৈত্যপ্রবাহ ছিল ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement