—প্রতীকী চিত্র।
ঋতুস্রাবের কথা আগে থেকে জানত না কিশোরী। প্রথম ঋতুস্রাবে তাই সে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। যার ফলশ্রুতিতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হল তাকে। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। কিশোরীর পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, ঋতুস্রাবের ব্যথা নিয়ে ভুগছিল সে। তার পরেই এই ঘটনা।
মুম্বইয়ের মলাড এলাকার বাসিন্দা ছিল ১৪ বছরের ওই কিশোরী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে তার প্রথম বার ঋতুস্রাব হয়। বিষয়টি তার কাছে সম্পূর্ণ নতুন ছিল। কারণ এর আগে এ বিষয়ে কেউ তার সঙ্গে কথা বলেনি। পরিবারের সদস্য বা স্কুলের বন্ধুদের কাছ থেকেও এ বিষয়ে কোনও তথ্য পায়নি কিশোরী। ফলে প্রথম ঋতুস্রাব তার কাছে আতঙ্কের ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঋতুস্রাবের কথা পরিবারের সদস্যদের জানায় কিশোরী। এ-ও জানায়, তার পেটে অসহ্য যন্ত্রণা করছে। পরিবারের সদস্যেরা তাকে আশ্বস্ত করলেও শান্ত হতে পারেনি কিশোরী। যন্ত্রণায় কাতর হয়ে সে চরম পদক্ষেপ করে বসে। রাতে ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। অবিলম্বে কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তবে ময়নাতদন্তে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে খবর পুলিশ সূত্রে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঋতুস্রাবই আত্মহত্যার একমাত্র কারণ কি না, নেপথ্যে অন্য কোনও অবসাদ কাজ করেছে কি না, পুলিশ খতিয়ে দেখছে। কথা বলা হয়েছে পরিবার, স্কুল এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে।
এই ঘটনা ঋতুস্রাব নিয়ে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা আরও এক বার তুলে ধরল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, ঋতুস্রাব নিয়ে প্রত্যেক কিশোরীর কাউন্সেলিং প্রয়োজন।