দেহরাদূনের স্কুলে গণধর্ষিতা কিশোরী, গ্রেফতার অভিযুক্ত চার ছাত্র 

১৪ অগস্ট ওই স্কুলেরই ভাঁড়ার ঘরে মেয়েটিকে ডেকে পাঠিয়ে তাকে ধর্ষণ করে দ্বাদশ শ্রেণির চার পড়ুয়া। কিছু দিন পরে অসুস্থ বোধ করার পরেই জানা যায়, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে সে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে বলে অভিযোগ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি ও দেহরাদূন শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৪০
Share:

প্রতীকী ছবি।

হরিয়ানার রেওয়ারি গণধর্ষণ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ধরা পড়েনি ছ’দিনেও। তার মধ্যেই দেহরাদূনের স্কুলে ফের গণধর্ষণের শিকার এক ছাত্রী। প্রধানমন্ত্রী যথারীতি এখনও কোনও কথাই বলেননি। মঙ্গলবার সকালে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী টুইটারে রেওয়ারি প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী, আপনার নীরবতা মেনে নে‌ওয়া যায় না। যে সরকার মেয়েদের অসুরক্ষিত রাখে আর ধর্ষকদের বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেয়, তাকে ধিক্কার।’’ দেহরাদূনের ঘটনা সামনে আসার পরে বিরোধীদের অভিযোগের সুর আরও তীব্র হয়েছে।

Advertisement

কাঠুয়া-উন্নাও নিয়ে যখন প্রবল আলোড়ন, তখনও মোদী চুপ ছিলেন। রেওয়ারির পর ফের গণধর্ষণের অভিযোগ দেহরাদূনেও। সহাসপুর এলাকার একটি বোর্ডিং স্কুলে উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারা দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করায় সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

অভিযোগ, ১৪ অগস্ট ওই স্কুলেরই ভাঁড়ার ঘরে মেয়েটিকে ডেকে পাঠিয়ে তাকে ধর্ষণ করে দ্বাদশ শ্রেণির চার পড়ুয়া। কিছু দিন পরে অসুস্থ বোধ করার পরেই জানা যায়, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে সে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি যাতে পাঁচকান না হয় তার জন্য ভয় দেখানোরও অভিযোগ উঠেছে স্কুলের বিরুদ্ধে। গোপনে গর্ভপাত করানোর জন্য স্কুলেই মেয়েটিকে ওষুধ মেশানো পানীয় খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়। চুপিচুপি ছাত্রীটিকে নার্সিংহোমে পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয় বলে মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ।

Advertisement

পুলিশ অভিযুক্ত চার ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে। স্কুলের অধ্যক্ষ, হস্টেলের কেয়ারটেকার এবং স্কুলের প্রশাসককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি পরে বলেন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটা চেপে যাওয়ার সব রকম চেষ্টা করেছেন। মেয়েটি ঘটনার দিনই আয়াকে সব বলেছিল। আয়াই তাকে বলে মুখ না খুলতে।’’

পুলিশের এই সক্রিয়তাটাই দেখা যায়নি রেওয়ারিতে। ঘটনাটা নিয়ে বড় রকম হইচই শুরু হওয়ার পরে সেখানে এসপি রাজেশ দগ্গলকে সরানো হয়। এ বার মহিলা থানার এএসআই-কেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। ধর্ষিতার পরিবারের অভিযোগ, কোন থানা তদন্ত করবে এই নিয়ে গড়িমসি করতে গিয়ে দেরি হয়েছে। অভিযুক্তরা গা ঢাকা দেওয়ার সুযোগ পেয়ে গিয়েছে। সরকার ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলে মেয়েটির পরিবার তা নেয়নি। আজ আপ নেতা তথা দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়ালের স্বামী নবীন জয়হিন্দ এ নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘শাসক দলের নেতারা কি ওই টাকার বিনিময়ে ধর্ষিত হতে রাজি আছেন?’’

তবে সুপ্রিম কোর্ট এ দিন সংবাদমাধ্যমকে তিরস্কার করেছে ফের। আদালতের মতে, রেওয়ারি নিয়ে যে ভাবে লেখা হয়েছে, তাতে ধর্ষিতার পরিচয় গোপন নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement