—প্রতীকী চিত্র।
ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা কমাতে একের পর এক ট্যাবলেট খেয়েছিলেন তরুণী। ওষুধের সেই অতিরিক্ত ডোজ় কাল হয়ে দাঁড়াল। বেশি ওষুধ খাওয়ায় মৃত্যু হল তাঁর। ১৮ বছর বয়সি তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে তিনি বাড়িতেও ফিরে যান। কিন্তু আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার মৃত্যু হয়েছে তরুণীর।
তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লির বাসিন্দা ওই তরুণীর পরিবার জানিয়েছে, ঋতুস্রাবে প্রথম থেকেই কষ্ট পেতেন তিনি। যন্ত্রণায় ছটফট করতেন। চিকিৎসকেরা ব্যথা কমাতে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই ওষুধই অনেকগুলি খেয়ে ফেলেন তরুণী। তাতেই এই বিপত্তি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২১ অগস্ট ঋতুস্রাবের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন তরুণী। পরিবারের লোকজনকেও সে কথা জানিয়েছিলেন। ব্যথার উপশমের জন্য বাড়িতে ওষুধ এনে রাখা হয়েছিল। একটি বা দু’টি ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু যন্ত্রণা না কমায় একবারে অনেকগুলি ট্যাবলেট তিনি খেয়ে ফেলেন।
পরিবার জানিয়েছে, ওষুধ খাওয়ার পর বমি করতে থাকেন তরুণী। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ি ফিরে তিনি সংজ্ঞা হারান। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তরুণী। কিন্তু পাঁচ দিন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা কমানোর ওষুধের অত্যধিক ডোজ়ে তরুণীর শরীরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তাঁর দেহের ময়নাতদন্তও করা হয়েছে।