রাজনীতিতে এঁদের কেউ এসেছেন বহু দিন আগে, কেউ বা হালে। কেউ বলিউড কাঁপিয়েছেন, কেউ আবার ভোজপুরি ফিল্মের সুপারস্টার। বিজেপি, কংগ্রসে তো বটেই, নির্দল হয়েও ভোটের লড়াইয়ে নেমে পড়েছিলেন এই তারকারা। তবে সবার ভাগ্যে শিকে ছেড়েনি। দেখে নেওয়া যাক রুপোলি জগতের তারকাদের ভোট ভাগ্যটা কেমন গেল।
স্মৃতি ইরানি: টেলিভিশন জগতে দাপিয়ে বেরিয়েছেন এক সময়। এ বার ভোটের ময়দানেও বাজিমাত করলেন বিজেপির স্মৃতি ইরানি। দীর্ঘ দিনের চেষ্টায় গাঁধী পরিবারের গড় অমেঠী ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
সানি দেওল: সারা দেশে ছবি না চললেও, পঞ্জাবে দেওলদের ছবি হিট করেই। প্রথম বার ভোটে দাঁড়িয়ে সেই জনপ্রিয়তার ফায়দা তুললেন সানি দেওল। বিজেপির হয়ে পঞ্জাবের গুরুদাসপুরে জয়ী হয়েছেন তিনি।
উর্মিলা মাতন্ডকর: সিলভার স্ক্রিনে আজকাল দেখা না গেলেও, নির্বাচনী প্রচারে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিলেন এককালের হিট নায়িকা উর্মিলা। উত্তর মুম্বইয়ে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন তিনি। কিন্তু জিততে পারেননি।
নুসরত জাহান: না, জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধেই রাজনীতিতে পা রেখেছেন বলে জানিয়েছিলেন নুসরত। তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে বসিরহাট থেকে এ বছর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি।
মিমি চক্রবর্তী: গ্লাভস পরে হাত মেলানো থেকে তোয়ালে পেতে রিক্সায় বসা, নির্বাচনের যুদ্ধে নাম লেখানোর পর থেকে একাধিক বার সমালোচনার মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। তাই বলে তৃণমূলের হয়ে যাদবপুর থেকে তাঁর জয় আটকানো যায়নি।
প্রকাশ রাজ: নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির ঘোর বিরোধী বলে পরিচিত তিনি। তাই বলে অন্য শিবিরে ভিড়ে যাননি। বরং নির্দল প্রার্থী হিসাবে বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও জয়ী হতে পারেননি। তবে লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
শত্রুঘ্ন সিনহা: মোদী-শাহের বিরোধিতা করে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে। বিহারের পটনা সাহিব থেকেই ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তাও আবার বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু জয়ী হতে পারেননি।
হেমা মালিনী: নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে কাস্তে নিয়ে মাঠে ফসল কাটতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই ‘লোক দেখানো’ উদ্যোগ ভাল ভাবে নেননি সাধারণ মানুষ। বরং সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ট্রোল করা হয় তাঁকে। হেমা কিন্তু এ বারও বিজেপির হয়ে মথুরা থেকে জয়লাভ করেছেন।
জয়াপ্রদা: তেলুগু দেশম, সমাজবাদী পার্টি, আরএলডি-র সঙ্গে সম্পর্ক চুকেছে আগেই। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। যাঁর হাত ধরে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে প্রবেশ, সেই আজম খানের বিরুদ্ধেই রামপুর থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু জিততে পারেননি।
রবি কিষেণ: শুধু ভোজপুরি সুপারস্টার বললে কম বলা হয়। এক সময় বলিউডেও চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। এ বছর বিজেপির হয়ে গোরক্ষপুর থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তাতে জয়ী হয়েছেন।
দীনেশলাল যাদব নিরাহুয়া: ভোজপুরি ছবির সুপারস্টার তথা প্রাক্তন বিগ বস প্রতিযোগী নিরাহুয়ারও রাজনীতিতে প্রবেশ বিজেপির হাত ধরেই। তবে সতীর্থ রবি কিষেণ সফল হলেও, আজমগড় থেকে জিততে পারেননি তিনি।
মুনমুন সেন: নির্বাচনী প্রচারে বার বার ছুটে গিয়েছিলেন আসানসোলে। কিন্তু সেখান থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনকে। পরাজয়ের পর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দরকারে মানুষ আর তাঁকে পাবেন না।
বাবুল সুপ্রিয়: গত বারের সাংসদ বাবুল আসানসোল চষে বেড়িয়েছেন পাঁচ বছর। তার ফলও মিলেছে হাতেনাতে। মুনমুন সেনকে হারিয়ে বিজেপিকে সেখান থেকে জয় পাইয়ে দিয়েছেন তিনি।
মনোজ তিওয়ারি: সমাজবাদী পার্টির হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ। পরে বিজেপিতে চলে যান। দিল্লিতে দলের কাজকর্ম সামলানোর দায়িত্বও হাতে পান। কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিতের বিরুদ্ধে এ বছর উত্তর-পূর্ব দিল্লি থেকে জয়ী হয়েছেন মনোজ তিওয়ারি।
কিরণ খের: নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই তাঁর সমর্থক কিরণ খের। ২০০৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। ২০১৪-য় চণ্ডীগড় থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। এ বছরও সেখানে জয়ী হন কিরণ।