ছবি: টুইটার
দীর্ঘ ১৪ বছরের অপেক্ষাতে ইতি টেনে অবশেষে দেশে ফিরতে চলেছে ভারতের মুন্নি। মূক ও বধির গীতা। বুধবার টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
১৪ বছর আগে ন'বছরের ছোট্ট মেয়েটা কোনও ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল। কথা বলতে জানে না। পঞ্জাব রেঞ্জার দফতরের এক কর্তার চোখে পড়ায় তাকে নিয়ে গিয়ে তুলে দেন লাহৌরের একটি সমাজকল্যাণমূলক সংস্থার হাতে। তার পর অনেক চেষ্টা করেও খোঁজ মেলেনি তার পরিবারের। এত দিন সেখানেই বেড়ে উঠেছে সে। সেখানেই তার নাম দেওয়া হয় গীতা। মোবাইল ফোনে ভারতের মানচিত্র দেখিয়ে ইশারায় গীতা শুধু বোঝাতে পেরেছিল সে ভারতীয়। তারা সাত ভাই-বোন।
পাকিস্তানের মানবাধিকার সংগঠন এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগে গীতার পরিবারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। গীতা বিহারের বাসিন্দা। ডিএনএ পরীক্ষার পরে গীতাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে বিদেশমন্ত্রী জানান।
ভারতে এসে পরিবারের থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল বজরঙ্গী ভাইজানের মুন্নি। অবশেষে অনেক চেষ্টার পর তাকে পাকিস্তানে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এটা রূপকথার ঘটনা। তবে অনেকটা এই ঘটনাটি যেন ঘটে গেল ভারতের ‘মু্ন্নি’ গীতার জীবনে।