গত এক মাসে প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা খুইয়েছেন গৌতম আদানি। ফাইল ছবি।
সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না গৌতম আদানির। গত এক মাসে প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা খুইয়েছেন তিনি। কোটি কোটি টাকার লোকসান হয়েছে তাঁর। ভারতীয় ধনকুবেরের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ দু’বছরে সবর্নিম্ন।
জানুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ আমেরিকার লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। রিপোর্টে আদানিদের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়েছিল। তার পরই শেয়ার বাজারে ধস নামতে শুরু করে। হু হু করে কমতে থাকে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টকে অস্বীকার, লগ্নিকারীদের আশ্বাস কিংবা সময়ের আগে ঋণ শোধ করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা কোনও কিছুই আদানিদের পতন ঠেকাতে পারেনি।
দেখা গিয়েছে, গত এক মাসে মোট সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ হারিয়েছেন আদানি। ৯ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকা (১২০ বিলিয়ন ডলার) থেকে তাঁর সম্পত্তি এক ধাক্কায় কমে হয়েছে ৩ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ, এক মাসে প্রায় ৬ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়েছে আদানির।
গত দু’বছরে আদানির এত কম সম্পত্তি আর কখনও দেখা যায়নি। শেষ বার তাঁর সম্পত্তি ৩ লক্ষ কোটির কাছাকাছি ছিল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।
বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকাতেও এর প্রভাব পড়েছে। জানুয়ারি মাসে ওই তালিকায় আদানি ছিলেন চতুর্থ। তার পর বিপুল সম্পত্তিহানিতে টানা নীচের দিকে নামতে থাকেন ভারতীয় ধনকুবের। ফোর্বসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে আদানি বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় ৩৮ নম্বরে রয়েছেন। তাঁকে ছাপিয়ে ভারত তথা এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন মুকেশ অম্বানী। তিনি বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকায় এখন অষ্টম স্থানে রয়েছেন।
শেয়ার বাজারে হারানো সিংহাসন পুনরায় দখলের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন আদানি। একের পর এক ঋণ শোধের মাধ্যমে তাঁরা লগ্নিকারীদের আস্থা ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন।