রেললাইনে গ্যাস সিলিন্ডার দেখতে পেয়েই ট্রেন থামান চালক। ছবি: সংগৃহীত।
আবারও সেই উত্তরপ্রদেশ। প্রয়াগরাজের পর এ বার কানপুরেও রেললাইন থেকে উদ্ধার হল গ্যাস সিলিন্ডার। ফলে আবারও ঘুরেফিরে সেই প্রশ্নই উঠে এল, তা হলে কি লাইনচ্যুত করানোর জন্যই কি এ ভাবে রেললাইনে গ্যাস সিলিন্ডার ফেলে রাখা হয়েছিল?
স্থানীয় সূত্রে খবর, উত্তর-মধ্য রেলের প্রয়াগরাজ ডিভিশনের পেরাম্বুর স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে রেললাইনের উপর থেকে ছোট একটি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার হয়েছে। ওই লাইন দিয়েই তখন একটি মালগাড়ি আসছিল। কিন্তু চালকের নজরে পড়ে গ্যাস সিলিন্ডারটি। তখনই তিনি আপৎকালীন ব্রেক কষে মালগাড়িটিকে থামান। তবে চালকের নজরে না পড়লে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
রেল সুরক্ষা বাহিনীর (আরপিএফ) এসপি এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, রেললাইনের উপরে পাঁচ কেজির একটি গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল। মালগাড়ির গতি কম থাকায় চালক সিলিন্ডারটিকে পড়ে থাকতে দেখেই আপৎকালীন ব্রেক কষেন। তার পর তিনি রেলের কর্তাদের খবর দেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে আরপিএফ এবং রেলের শীর্ষকর্তারা। আরপিএফের তরফে স্থানীয় থানায় বিষয়টি জানানো হয়। আরপিএফের পাশাপাশি পুলিশও এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
সেপ্টেম্বরের গোড়াতেই প্রয়াগরাজে রেললাইনের উপর ফেলে রাখা হয়েছিল বড় গ্যাস সিলিন্ডার, সাইকেল, দেশলাই এবং পেট্রল। প্রয়াগরাজ থেকে হরিয়ানার ভিওয়ানির দিকে যাচ্ছিল কালিন্দি এক্সপ্রেস। রেললাইনে রাখা সিলিন্ডারে ধাক্কা লাগে ট্রেনের। সিলিন্ডারটি ৫০ মিটার দূরে ছিটকে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে আপৎকালীন ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। সন্দেহ করা হয়, ট্রেনটিকে লাইনচ্যুত করানোর জন্যই পরিকল্পিত ভাবে রেললাইনের উপর সিলিন্ডার, পেট্রল, দেশলাই রাখা হয়েছিল।
শুধু ওই দু’টি নয়, গত এক-দেড় মাসে রেলে ‘নাশকতা’র একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে বলে রেলের দাবি। গত ২৩ অগস্ট রাজস্থানের পালি জেলায় আমদাবাদ-যোধপুর বন্দে ভারত ট্রেনের সামনে সিমেন্টের ব্লক ফেলে রাখা হয়েছিল। ওই দিনই ফারুকাবাদ এক্সপ্রেসের সামনে কাঠের গুঁড়ি ফেলে সেটিকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করা হয়। গত ১৭ অগস্ট কানপুরের কাছে রেললাইনে থাকা কোনও বস্তুতে ধাক্কা দিয়ে লাইনচ্যুত হয় সাবরমতী এক্সপ্রেসের ২০টি কামরা। গোয়েন্দাদের ধারণা, ঘটনাগুলি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এর পিছনে নিশ্চিত ভাবে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হাত রয়েছে।