— প্রতীকী ছবি।
তীর্থযাত্রীর ছদ্মবেশে মাফিয়া ডন অমরনাথ সিংহকে ‘পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ’ থেকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। জামশেদপুরের অমরনাথ পরিবার নিয়ে দুমকায় এসেছিলেন তীর্থে। সেখানেই তাঁকে খুন করার ঘটনা ঘটল। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। যদিও প্রায় একই সময় অন্য একটি জায়গায় অমরনাথের গোষ্ঠীর সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময় হয়। এই ঘটনায় অমরনাথের ছয় সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৩০ থেকে ৪০টি অপরাধের মামলা নথিভুক্ত রয়েছে অমরনাথের বিরুদ্ধে। সবক’টি মামলাই জামশেদপুর এলাকায়। এ হেন অমরনাথ পরিবার নিয়ে দুমকা জেলার বাসুকীনাথ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, দুমকায় গিয়ে খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। অমরনাথের দেহের পাশ থেকে ছ’টি গুলির কার্তুজের খোল উদ্ধার করেছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে ঠিক কতগুলি গুলি বিদ্ধ হয়েছিল অমরনাথের শরীরে।
দুমকার পুলিশ সুপার অম্বর লাকরা জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা এসেছিলেন তীর্থযাত্রীর বেশে। ফলে সন্দেহ হয়নি কারও। তিনি জানিয়েছেন, কারও যাতে সন্দেহ না হয় সে জন্য দুষ্কৃতীরা তীর্থযাত্রীদের মতো সেজে ঢুকে পড়েছিল দর্শনার্থীদের দলে। সে ভাবেই অমরনাথের খুব কাছে পৌঁছে যায় দুষ্কৃতীরা। তার পরেই পর পর গুলি। পুলিশ সুপারের অনুমান, সম্ভবত অন্য কোনও দুষ্কৃতীদলের সঙ্গে অমরনাথের গ্যাংয়ের গোলমালের জেরেই খুন।
প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে তীর্থযাত্রীরা গঙ্গা থেকে জল সংগ্রহ করে তা কাঁধে করে বয়ে আনেন শিবমন্দিরে। সেখানে শিবের মাথায় ঢালা হয় গঙ্গাজল। দুমকার বাসুকীনাথ মন্দিরেও জল ঢালতে তীর্থযাত্রীদের ভিড় চলে গোটা শ্রাবণ মাস ধরে। সেই ভিড়ের সুযোগ নিয়েই খুন হয়ে গেলেন কুখ্যাত দুষ্কৃতী অমরনাথ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অন্য দিকে, পূর্ব সিংভূম জেলায় পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে অমরনাথের গ্যাং। ঘাটশিলা থানার অন্তর্গত ৩৩ নম্বর জাতীয় সড়কে গুলি বিনিময় হয়। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। গোষ্ঠীর ছ’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজনের পায়ে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে।