ছোটা রাজন। ফাইল চিত্র।
৩৮ বছরের পুরনো একটি মামলায় গ্যাংস্টার ছোটা রাজনকে রেহাই দিল মুম্বইয়ের একটি আদালত। ওই মামলায় রাজনের বিরুদ্ধে দুই পুলিশকর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে এই মামলায় মুক্তি পেলেও অন্য অপরাধের কারণে রাজনকে জেলবন্দিই থাকতে হচ্ছে।
১৯৮৩ সালে একটি মামলার জেরে রাজনের খোঁজ করছিল সেই সময়কার বম্বে পুলিশ। একদিন টহলদারির সময়ে পুলিশকর্মীরা দেখেন, ছোটা রাজন তাঁর এক সঙ্গীদের নিয়ে ট্যাক্সি করে কোথাও যাচ্ছেন। পুলিশ সেই ট্যাক্সিকে তাড়া করলে রাজনের সঙ্গীরা পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ ওই গাড়ি থামাতেই ছুরি হাতে পুলিশকর্মীদের আঘাত করার চেষ্টা করেন রাজন। সেই সময়ে রাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
সিবিআইয়ের আইনজীবী আগেই এই মামলায় ক্লোজার রিপোর্ট দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দিয়ে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনার পর অনেক দিন কেটে গেলেও অপরাধের সময়ে ব্যবহার হওয়া অস্ত্র ও মামলা সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া, সাক্ষীদের মধ্যে তিন জন পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে মামলা চলার সময়েই। সাক্ষী হিসেবে থাকা আরও তিনজন পুলিশকর্মী অবসর নিয়েছেন, তাঁদের বয়সও সত্তর পেরিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশকর্মীদের খুনের চেষ্টার পুরনো এই মামলাটি থেকে আজ রাজনকে রেহাই দিয়েছে বিশেষ আদালত।
২০১৫ সালে ইন্দোনেশিয়ায় গ্রেফতারির পর গ্যাংস্টার ছোটা রাজনকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছিল। বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন রাজন। গ্যাংস্টারের বিরুদ্ধে চলা বহু মামলা মুম্বই পুলিশের থেকে নিজেদের হাতে নিয়েছে সিবিআই।