শেষযাত্রায় বুখারি। ছবি: এএফপি।
তুমুল বৃষ্টি। কিন্তু, দুর্যোগকে হারিয়ে মানুষের প্লাবন। কে নেই সেখানে? জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, বিরোধী দলনেতা ওমর আবদুল্লা, পিডিপি কিংবা বিজেপির নেতা কর্মীরা— সকলে।
আমৃত্যু যিনি জম্মু-কাশ্মীরের শান্তির জন্য সওয়াল করে গিয়েছেন, ‘রাইজিং কাশ্মীর’ পত্রিকার সেই সম্পাদক শুজাত বুখারির শেষযাত্রাতে যেন সব ভুলে মিলে মিশে একাকার ভূস্বর্গ। প্রিয় সাংবাদিক এবং অকুতোভয় একটা মানুষকে চির বিদায় জানাতে গিয়ে চোখ সবার জলে ছলছল।
বারামুলায় যখন নিজের গ্রাম ক্রেরিতে আনা হচ্ছে নিহত শুজাত-র নিথর দেহ, সেই সময় ভিড়ে প্রবল ট্রাফিক জ্যাম। থমকে গেল যান চলাচল। ক্রেরি গ্রামে শুক্রবার শুজাত বুখারির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার শ্রীনগরে নিজের অফিসের বাইরে আততায়ীদের গুলিতে খুন হন বুখারি। হামলায় মারা গিয়েছেন তাঁর দুই দেহরক্ষীও।
কিন্তু এর পরেও প্রশ্ন, আততায়ী কারা?
ওই দিন সন্ধ্যায় মোটর বাইকে সওয়ার তিন সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চালকের মাথায় হেলমেট থাকলেও, অন্য দু’জনের মুখ ছিল কাপড় দিয়ে ঢাকা। তাদের সন্ধান পাওয়ার জন্য পুলিশের তরফ থেকে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। দুই সন্তানের বাবা শুজাত যেমন আফজল গুরুর ফাঁসির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন, ঠিক সেরকমই তিনি ছিলেন শান্তির প্রবক্তা। তবে কি সেজন্যেই তাঁকে জঙ্গিদের নিশানায় পড়তে হল?
আগেও তিন বার হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল শুজাতকে। তাঁর সুরক্ষায় নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। অনেকেই বলছেন, জঙ্গিরা যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষবিরতির সুযোগ নিচ্ছে, জীবন দিয়ে তা প্রমাণ করে গেলেন সাংবাদিক শুজাত বুখারি।