রাজীব গাঁধীর সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। এই ছবিই টুইট করেছেন প্রিয়ঙ্কা। ছবি সৌজন্য টুইটার।
ঘৃণা নয়, মানুষকে ভালবাসতে শিখিয়েছিলেন তাঁর বাবা। শত কঠিন পরিস্থিতিতেও কী ভাবে মুখের হাসিটা ধরে রাখা যায় এটাও তাঁর কাছ থেকেই শেখা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর ৭৫ জন্মবার্ষিকীতে এ ভাবেই স্মরণ করলেন মেয়ে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি শেয়ার করেছেন প্রিয়ঙ্কা। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে বাবা রাজীবের সঙ্গে খুনসুটি করছেন তিনি। ব্যক্তি হিসেবে রাজীব গাঁধী কতটা ভাল মানুষ ছিলেন তা বোঝাতেই শৈশবের সেই ছবির পাশে জুড়ে দিয়েছেন মার্কিন কবি ইই কামিংস-এর একটি কবিতা।
রাজীবের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে প্রিয়ঙ্কা টুইট করেন, “বাবা শিখিয়েছিলেন যত কঠিন পরিস্থিতি আসুক না কেন, যত বিরোধিতাই করুক না কেন মানুষ, তাঁদের কাছে টেনে নিতে হবে। তাঁদের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে হবে।” প্রিয়ঙ্কা আরও বলেন, “কী ভাবে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও হাসি বজায় রাখতে সেটাও বাবার কাছ থেকেই শিখেছি।”
আরও পড়ুন: ৭৫-এর রাজীবে ভরসা কংগ্রেসের
আরও পড়ুন: ডেবিট কার্ড তুলে দিচ্ছে এসবিআই! ঘোষণা চেয়ারম্যানের, নগদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় গ্রাহক
অন্য দিকে, রাজীব গাঁধীকে নিয়ে টুইট করেন রাহুল গাঁধীও। তিনি বলেন, “দেশপ্রেমিক তো বটেই, এক জন স্নেহপরায়ণ বাবা ছিলেন রাজীব।” লোকসভা নির্বাচনের প্রচারকালীন উত্তরপ্রদেশের এক জনসভা থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ‘ভ্রষ্টাচারী নম্বর ১’ বলে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জন্মবার্ষিকীতে এই টুইট করেই সেই সমালোচনার জবাব দিলেন রাহুল। আজ দেশে যে তথ্যপ্রযুক্তির জোয়ার বইছে, এর জন্য অনেক অবদান রয়েছে রাজীব গাঁধীর। তাঁর অনেকগুলো কাজের মধ্যে এটাও একটি বলেও জানান রাহুল।
রাহুল, প্রিয়ঙ্কা ছাড়াও টুইট করে রাজীব গাঁধীকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।