মাদ্রাজ হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
বাক্স্বাধীনতার অর্থ ঘৃণাভাষণ নয়। সনাতন ধর্ম সম্পর্কিত বিতর্কের প্রেক্ষিতে এমনই পর্যবেক্ষণ মাদ্রাজ হাই কোর্টের। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, সনাতন ধর্ম হল সুনির্দিষ্ট কিছু কর্তব্যের সমষ্টি। এগুলির মধ্যে দেশের প্রতি কর্তব্য, পিতামাতার প্রতি কর্তব্য, রাজার প্রতি কর্তব্যও অন্তর্ভুক্ত বলে জানিয়েছে আদালত।
এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি এন শেষাসায়ী বলেন, “যখন কেউ বাক্স্বাধীনতা বলে ধর্ম সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেন, তখন এটা অবশ্যই সুনিশ্চিত করা উচিত যে, এতে কেউ আহত হবেন না। অন্য ভাবে বললে, বাক্স্বাধীনতা কখনও ঘৃণাভাষণের হাতিয়ার হতে পারে না।”
গত ৯ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের পুত্র তথা ডিএমকে মন্ত্রিসভার সদস্য উদয়নিধি স্ট্যালিন চেন্নাইয়ে লেখকদের একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘সনাতন ধর্মের আদর্শকে মুছে ফেলার এই অনুষ্ঠানে আমায় আমন্ত্রণ জানানোয় আমি উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানাই।’’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘আমাদের প্রথম কাজ হল বিরোধিতা নয়, সনাতন ধর্মের আদর্শকে মুছে ফেলা। এই সনাতন প্রথা সামাজিক ন্যায় এবং সাম্যের বিরোধী।’’ অভিযোগ, ওই অনুষ্ঠানে উদয়নিধি জানিয়েছিলেন যে, কিছু জিনিস আছে, যার বিরোধিতা যথেষ্ট নয়, তা নিশ্চিহ্ন করা দরকার। যেমন করোনা, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির বিরোধিতা শুধু নয়, তাদের নিশ্চিহ্ন করা দরকার, তেমনই সনাতন আদর্শকেও মুছে ফেলা দরকার।
পরে স্ট্যালিন-পুত্র প্রকাশ্যে জানান, কোনও ধর্মকে আঘাত করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রচারে আনতে তৎপর বিজেপি। গোটা বিষয়টিকে হিন্দু ধর্মের উপরে আঘাত বলে অভিযোগ তুলে প্রচারে নেমেছে তারা।