Covid

Covid Booster: বুস্টার টিকা নিয়ে গেলে বিনামূল্যে ছোলে-বাটুরে চণ্ডীগড়ের এই দোকানে!

বুস্টার টিকা নিয়ে তাঁর দোকানে এলে মিলবে বিনামূল্যে ছোলে-বাটুরে। ঘোষণা চণ্ডীগড়ের সঞ্জয় রানার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২২ ১৫:৩৯
Share:

চণ্ডীগড়ে গত ১৫ বছর ধরে ছোলে-বাটুরে বিক্রি করছেন সঞ্জয়।

কোভিডের বুস্টার টিকা নেওয়ার বিষয়ে তীব্র অনীহা দেশবাসীর একাংশের মধ্যে। আগের মতোই এগিয়ে এলেন চণ্ডীগড়ের সঞ্জয় রানা। জানালেন, বুস্টার টিকা নিয়ে সে দিন তাঁর দোকানে গেলে, বিনামূল্যে ছোলে-বাটুরে খাওয়াবেন। এর আগেও কোভিডের টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় টিকা প্রসারের জন্য একই পদক্ষেপ করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন সঞ্জয়।

Advertisement

৪৫ বছরের সঞ্জয় চণ্ডীগড়ের রাস্তায় ছোলে-বাটুরে বিক্রি করেন। গত ১৫ বছর ধরে। বুস্টার টিকা নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের গা-ছাড়া মনোভাবে উদ্বিগ্ন তিনি। বলেন, ‘‘ঠিক করেছি কোভিড টিকার বুস্টার টিকা নিয়ে কেউ সে দিনই আমার এখানে ছোলে-বাটুরে খেতে এলে দাম নেব না। তবে টিকাকরণের শংসাপত্র দেখাতে হবে।’’

বুদ্ধিটা প্রথম দিয়েছিলেন তাঁর মেয়ে ঋদ্ধিমা আর ভাগ্নী রিয়া। এর আগে কোভিডের প্রথম ও দ্বিতীয় টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ বাড়াতেও একই পদক্ষেপ করেছিলেন। গত বছর এক রবিবারের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রশংসা করেছিলেন তাঁর। বলেছিলেন, ‘‘সঞ্জয়জির ছোলে-বাটুরে খেতে হলে আপনাদের কোভিড টিকার শংসাপত্র নিয়ে পৌঁছে যেতে হবে। দেখাতে হবে, যে ওই দিনই আপনি টিকা নিয়েছেন। শংসাপত্র দেখালেই তিনি আপনাকে সুস্বাদু ছোলে-বাটুরে দেবেন। সমাজের ভাল করার জন্য একটা কর্তব্যবোধ প্রয়োজন। আমাদের ভাই সঞ্জয়ের সেটা রয়েছে।’’

Advertisement

সঞ্জয় জানালেন, সমাজের জন্য কিছু করার ইচ্ছা তাঁর ছোট থেকেই। ভেবেছিলেন, সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবা মারা গিয়েছিলেন। সংসারের ভার এসে পড়ে তাঁর কাঁধে। বাধ্য হয়ে পড়াশোনা ছেড়ে কাজ নেন। সঞ্জয়ের কথায়, ‘‘ভাগ্যে আমার অন্য কিছু লেখা ছিল। তা বলে ইচ্ছা বিসর্জন দিইনি। এখন অন্য ভাবে সমাজসেবা করছি, আর তাতে আমি তৃপ্ত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement