National News

চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে, মেরে, পুঁতে মাছ-ভাত খেল ওরা

চার বছরের মেয়েটি তার বাড়ির সামনেই খেলছিল। তখন সন্ধে। এলাকার এক পরিচিতের নজর পড়ে ওই শিশুটির দিকে। চকোলেটের লোভ দেখিয়ে তাকে বাড়ির অদূরেই একটি জঙ্গলে নিয়ে যায় সে। সঙ্গে ছিল তার আরও তিন সঙ্গী। সেখানেই সঙ্গীসাথীর সঙ্গে মিলে শিশুটিকে ধর্ষণ করে ওই পরিচিত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ১৮:১৬
Share:

চার বছরের মেয়েটি তার বাড়ির সামনেই খেলছিল। তখন সন্ধে। এলাকার এক পরিচিতের নজর পড়ে ওই শিশুটির দিকে। চকোলেটের লোভ দেখিয়ে তাকে বাড়ির অদূরেই একটি জঙ্গলে নিয়ে যায় সে। সঙ্গে ছিল তার আরও তিন সঙ্গী। সেখানেই সঙ্গীসাথীর সঙ্গে মিলে শিশুটিকে ধর্ষণ করে ওই পরিচিত। ভয়াবহ অত্যাচারের পর এদেরই কেউ এক জন ভারী কিছু দিয়ে শিশুর মাথাটা থেঁতলে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে মারা যায় শিশুটি। প্রমাণ লোপাটের জন্য সামনের জলাজমিতেই তার দেহ পুঁতে দেয় তারা।

Advertisement

আরও পড়ুন

দুবাইয়ে দাউদের নেমন্তন্ন! গিয়েওছিলেন ঋষি কপূর

Advertisement

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গত ৯ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল মুম্বইয়ের অন্ধেরির আজাদনগর এলাকার ওই শিশুটি। তাকে গণধর্ষণের পর এলাকা থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত চার জন। এর দিন তিনেক পরে তার বিকৃত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিড়ালে তার পায়ের অনেকটা অংশই চিবিয়ে খেয়ে ফেলেছে। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য, ঘটনার পর এলাকারই একটি রেস্তোরাঁয় নিশ্চিন্তে মাছ-ভাত দিয়ে রাতের খাওয়া সারে সকলে। রবিবার অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক জন এখনও পলাতক। ঘটনার বিবরণ প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠছেন এলাকাবাসীরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত সোমবার থেকে কোনও খোঁজ মিলছিল না ওই শিশুটির। সারা রাত ধরে আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেও তার দেখা মেলেনি। পরের দিনই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার। পেশায় টেম্পোচালক তার বাবা বলেন, “সেদিন সন্ধ্যার সময় বাড়ির বাইরেই খেলছিল আমার মেয়ে। রাত ৮টা নাগাদ তাকে শেষ বার দেখি। এর পর আর তাকে দেখতে পাইনি।”

আরও পড়ুন

জন্মদিনের ইচ্ছেপূরণ, এক দিনের জন্য ‘পুলিশ’ ১১ বছরের সানিয়া

নিখোঁজ শিশুটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। আজাদনগর থানার এক শীর্ষ আধিকারিক মহেশ পাতিল বলেন, “গত ১২ জানুয়ারি সন্ধেয় খবর পাই, সামনের জঙ্গলের জলাজমিতে কোনও মানুষের পায়ের অংশ চিবিয়ে খাচ্ছে একটি বিড়াল। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওটা একটি শিশুর দেহ। এর পর সেই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।” তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যায় যে ওই দেহটি আজাদনগরের নিখোঁজ শিশুর। ময়নাতদন্তের পর গণধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে থেঁতলে মারার জন্যই যে ওই শিশুর মৃত্যু ঘটেছে তা-ও রিপোর্টে প্রকাশ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্তরা সকলেই ওই এলাকায় মজুরের কাজ করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement