জেএনইউয়ের পড়ুয়াদের মিছিলে বক্তৃতা দিচ্ছেন কানহাইয়া কুমার। উপস্থিত সীতারাম ইয়েচুরি এবং ডি রাজার মতো বাম নেতারা। মঙ্গলবার নয়াদিল্লির যন্তরমন্তরের কাছে পিটিআইয়ের ছবি।
হামলার হাত থেকে বাঁচলেন কানহাইয়া কুমার।
আজ দিল্লির মান্ডি হাউস থেকে সংসদ পর্যন্ত মিছিল করেন জেএনইউয়ের পড়ুয়ারা। দেশদ্রোহে অভিযুক্ত জেলে বন্দি দুই ছাত্র উমর খালেদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্যের মুক্তি ও কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির পদত্যাগের দাবি তোলেন তাঁরা। মিছিলে ছিলেন সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা-সহ বেশ কয়েক জন বর্ষিয়ান নেতা। অধিবেশন চালু থাকায় সংসদের অনেকটা আগে পার্লামেন্ট থানার সামনে ওই পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয়।
কানহাইয়াদের মিছিলটি যখন পার্লামেন্ট থানার সামনে, তখন সেখানে চার জনকে আটক করে পুলিশ। সূত্রের খবর, তাদের মধ্যে তিন জন কানহাইয়ার উদ্দেশে গালিগালাজ করছিল। এক জন কানহাইয়া যে ট্রাকে ছিলেন, সেখানে ওঠার চেষ্টা করছিল। পুলিশের জেরায় সেই ব্যক্তি জানিয়েছে, কানহাইয়াকে মারধর করার পরিকল্পনা ছিল তার। চার জনকেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে অবশ্য তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়।
৯ ফেব্রুয়ারি আফজল গুরুর সমর্থনে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সভা করার জন্য কানহাইয়া-সহ ২১ জন পড়ুয়ার নামে শো-কজ করে জেএনইউ। কাল জানা গিয়েছিল, কানহাইয়া-সহ পাঁচ পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে জেএনইউয়ের তদন্ত কমিটি। কিন্তু আজ কানহাইয়া জানিয়েছেন, তিনি যে শো-কজ নোটিস পেয়েছেন, তাতে বহিষ্কারের উল্লেখ নেই। তিনি বলেন, ‘‘স্মৃতি ইরানির পদত্যাগ ও হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রোহিত ভেমুলার মতো দলিত ছাত্রদের সুরক্ষার জন্য দ্রুত আইন পাশের দাবিতে আমাদের ছাত্র সংগঠন লড়াই চালিয়ে যাবে।’’ শো-কজ নোটিসে বহিষ্কারের কোনও উল্লেখ নেই কেন? বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, কর্তৃপক্ষ ঠিক করেছেন যে, অভিযুক্ত পড়ুয়ারাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা তাঁরা শো-কজের উত্তর পাওয়ার পরেই ঠিক করবেন।
এরই মধ্যে আজ কানহাইয়ার জামিন খারিজ করার দাবি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রশান্ত কুমার উমরাও নামে এক ব্যক্তি। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন কাশ্মীরে মোতায়েন ভারতীয় সেনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে কানহাইয়ার বিরুদ্ধে। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ ছিল, ওই মন্তব্য দেশবিরোধী। উমরাও আবেদনে জানান, কানহাইয়ার জামিনের শর্তই ছিল দেশবিরোধী মন্তব্য করতে পারবেন না। তা সত্ত্বেও তিনি ওই মন্তব্য করেছেন। ফলে কানহাইয়ার জামিন খারিজ করা হোক। কাল ওই মামলার শুনানি।