বরাকে ৪টি নতুন মহকুমা

বরাক উপত্যকায় চারটি নতুন মহকুমার উদ্বোধন হল। পৃথক অনুষ্ঠানে কাছাড় জেলায় কাটিগড়া ও হাইলাকান্দি জেলায় কাটলিছড়া মহকুমার উদ্বোধন করেন বরাক উপত্যকার ডিভিশনাল কমিশনার আনোয়ারউদ্দিন চৌধুরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৬ ০৪:২৯
Share:

বরাক উপত্যকায় চারটি নতুন মহকুমার উদ্বোধন হল। পৃথক অনুষ্ঠানে কাছাড় জেলায় কাটিগড়া ও হাইলাকান্দি জেলায় কাটলিছড়া মহকুমার উদ্বোধন করেন বরাক উপত্যকার ডিভিশনাল কমিশনার আনোয়ারউদ্দিন চৌধুরী। কাটিগড়ায় কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব, এআইইউডিএফ বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভুঁইঞা, জেলা উন্নয়ন কমিশনার এম কে দাস উপস্থিত ছিলেন। সার্কেল অফিসার খালেদা সুলতানা আহমেদ নতুন মহকুমাশাসক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন।

Advertisement

কাটলিছড়ায় হাইলাকান্দির জেলাশাসক মলয় বরা, পুলিশ সুপার রাজেন সিংহ ছাড়াও মঞ্চে ছিলেন ৯ জন কংগ্রেস নেতা। নতুন মহকুমাশাসক জেমস অ্যাইন্ড স্বাগত ভাষণ দেন।

করিমগঞ্জেও এ দিন দু’টি নতুন মহকুমা হয়। পাথারকান্দি মহকুমার উদ্বোধন করেন করিমগঞ্জের জেলাশাসক মনোজ কুমার ডেকা। রামকৃষ্ণনগরের উদ্বোধক অতিরিক্ত জেলাশাসক অরুণাভ দে। দুই জায়গাতেই মহকুমার দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলন হয়। রামকৃষ্ণনগরে জনস্বার্থ সংক্রান্ত মামলাও হয়েছিল। সেখানে সার্কেল অফিসার অনুপ কুমার ব্রহ্মকে পদোন্নতি দিয়ে নতুন মহকুমাশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাথারকান্দি মহকুমাশাসকের কাজ দেখবেন অতিরিক্ত জেলাশাসক জেসিকা লালসিম। এ দিকে, নির্বাচনের আগে করিমগঞ্জে দুটি মহকুমা স্থাপন হওয়ার পাশাপাশি ৪টি নতুন ব্লকও হচ্ছে। ২ মার্চ মন্ত্রী সিদ্দেক আহমেদ নবগঠিত মেদল, কায়স্থগ্রাম, বিনোদিনী বাজারঘাটে ব্লক অফিস স্থাপন করবেন বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

সভায় লোক নেই, আসলেন না গগৈ। তবে কি একঘেয়ে রাজনৈতিক সভায় টান কমছে মানুষের? রাহুল গাঁধী, নিতিন গ়ডকড়ীর পরে তরুণ গগৈয়ের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজনৈতিক দলগুলি। সম্প্রতি রাজ্য সফরে এসে রাহুল গাঁধী ১৫ ফেব্রুয়ারি শোণিতপুরের গোহপুরে একটি জনসভায় অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে সিংহভাগ চেয়ার খালি থাকায় মিনিট কয়েক বক্তৃতা দিয়েই বসে পড়েন রাহুল। শনিবার ডিব্রুগড়ের মরাণে একটি জনসভায় হাজির হন কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গ়ডকড়ী। কিন্তু, সভায় হাজার দেড়েক মানুষ আসেন।

গত কাল কামরূপের রঙিয়ায় বিধায়ক অকণ বরার আয়োজন করা একটি জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। বিরাট মঞ্চ গড়া হয়। সকাল ১০টায় সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সব চেয়ার খালি থাকার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয় লোক এলে তবেই গগৈ আসবেন। সকাল ১১টা পর্যন্ত সভায় লোক না আসায় মুখ্যমন্ত্রী ওই সভায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অকণবাবু কোনওমতে শ’দুয়েক কংগ্রেস কর্মীদের নিয়ে সভা সেরে ফেলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement