দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই বাস। ছবি: এক্স (টুইটার)।
হরিয়ানায় স্কুলবাস উল্টে ছয় পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করল সে রাজ্যের সরকার। পুলকার কিংবা পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে দিয়ে আসার অন্য যানবাহনগুলি সুরক্ষাবিধি মেনে চলছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার দুপুর ৩টের সময় বৈঠকে বসছে হরিয়ানার শিক্ষা দফতর। বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত জেলা এবং ব্লকের শিক্ষা আধিকারিকদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলবাসে জিএল পাবলিক স্কুলে যাচ্ছিল। বাসে ছিল ৩৩ জন পড়ুয়া। মহেন্দ্রনগর এলাকায় একটি গাছে ধাক্কা দিয়ে বাসটি উল্টে যায়। ছ’জন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। আহত হয় ১৪ জন। বাসটি ওই বেসরকারি স্কুলেরই। তার নথিপত্র থেকে জানা যায় যে, ছ’বছর আগে, ২০১৮ সালে বাসটির ফিটনেসের শংসাপত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিককে ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন স্কুলের প্রধানশিক্ষক, স্কুল পরিচালনাকারী ট্রাস্টের সম্পাদক এবং বাসের চালক।
ইদের দিন স্কুল কেন খোলা, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। হরিয়ানার শিক্ষামন্ত্রী সীমা বলেন, ‘‘স্কুল বৃহস্পতিবার খোলা থাকা উচিত নয়। শোকজ় নোটিস পাঠানো হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। সকল বেসরকারি স্কুলকে হলফনামা জমা করতেও বলা হয়েছে। সেখানে তাদের জানাতে হবে যে, তাদের চালানো বাস, গাড়ি নিয়ম মেনে পথে নেমেছে।’’ বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনার তদন্তে জানা গিয়েছে, বাসের চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন। এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান, কোনও স্কুলবাসের চালক মত্ত হলে, চালক, স্কুলের প্রধানশিক্ষক এবং বাস মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে।