প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিলীপ রায়। -ফাইল ছবি।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিলীপ রায়ের ৩ বছর জেল হল। কয়লা কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল। সেই তদন্তের বিচারে দিলীপ দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তার পরেই সোমবার তাঁকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, ওই কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় এই প্রথম কারও সাজা হল।
১৯৯৯ সালে ঝাড়খন্ডে কয়লা ব্লক বণ্টনের একটি মামলায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল এই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় স্তরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। তৎকালীন এনডিএ সরকার ওই অভিযোগের তদন্তভার দিয়েছিল সিবিআই-কে। কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে নেমে ওই দুর্নীতিতে তৎকালীন রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপের যোগসাজশ খুঁজে পায়। দিলীপকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। বাদী এবং বিবাদী পক্ষের তরফে দীর্ঘ শুনানির পর দিলীপ-সহ ৪ জন ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। দিল্লির একটি আদালত চলতি মাসের শুরুতে জানিয়েছিল, ২৬ অক্টোবর অর্থাৎ সোমবার তারা ওই মামলার শাস্তি ঘোষণা করবে। রায়দানের সময় দোষীদেরও আদালতে হাজির থাকতে হবে। সেই মতোই এদিন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতেই ওই আদালত তাঁকে ৩ বছর কারাদণ্ডের শাস্তি দিয়েছে। অর্থাৎ, ২০২৩ সাল পর্যন্ত দিলীপকে জেল হাজতে থাকতে হবে।
অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের আমলে দিলীপ ছিলেন কয়লা দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই ওই ঘটনায় তাঁর যোগসাজশ খুঁজতে প্রথম থেকেই সক্রিয় হয়েছিল সিবিআই। তদন্তে তাঁর পাশাপাশিই কয়লা মন্ত্রকের তৎকালীন দুই পদস্থ অফিসার প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নিত্যানন্দ গৌতমও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাঁদের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আর্জি জানিয়েছিল সিবিআই। ওই দুর্নীতিতে লাভবান এক বেসরকারি সংস্থার কর্ণধারের জন্যও তারা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আর্জি জানিয়েছিল।
আরও পড়ুন- তরজা তুঙ্গে ট্রাম্প এবং বাইডেনের
আরও পড়ুন- লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানাল আমেরিকা, চিনের মোকাবিলায় জোটের সওয়াল
অন্যান্য বিভিন্ন ধারার পাশাপাশিই দিলীপকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। যার অর্থ, সরকারি পদাধিকারী হয়ে বিশ্বাসভঙ্গ। যা ফৌজদারি অপরাধ। দিলীপের জন্য কারাদণ্ড ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক জানিয়েছেন, মন্ত্রী থাকাকালীন দিলীপ বেআইনি এবং অসৎ ভাবে বেসরকারি এবং পরিত্যক্ত কয়লাখনি এলাকা একটি বিশেষ সংস্থাকে পাইয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে ব্রহ্মডিহা কয়লা ব্লক বণ্টনে ওই ব্যাপক অনিয়ম এবং দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছিল