স্বাধীনতার পর সর্বভারতীয় রাজনীতিতে সফলতম বাঙালি। ফাইল চিত্র।
এক দিকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং অস্ত্রোপচার, তার উপর করোনা সংক্রমণ— জোড়া ধাক্কা সামলাতে পারলেন না তিনি। দিল্লির আর্মি হসপিটাল রিসার্চ অ্যান্ড রেফারালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন স্বাধীনতা উত্তর সর্বভারতীয় রাজনীতির সফলতম বাঙালি এবং দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। বয়স হয়েছিল প্রায় ৮৫ বছর। সোমবার বিকেল পৌনে ছ’টা নাগাদ তাঁর পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় টুইট করে এ খবর জানিয়েছেন।
অভিজিৎ তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘‘গোটা দেশের মানুষের প্রার্থনা, আরআর হাসপাতালের চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও আমার বাবা প্রণব মুখোপাধ্যায় একটু আগেই মারা গিয়েছেন। আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ।’’ প্রণববাবুর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। টুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
গত ৯ অগস্ট রাতে নিজের দিল্লির বাড়িতে শৌচাগারে পড়ে গিয়েছিলেন প্রণববাবু। পর দিন সকাল থেকে তাঁর স্নায়ুঘটিত কিছু সমস্যা দেখা দেয়। বাঁ হাত নাড়াচাড়া করতে সমস্যা হচ্ছিল। চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, তাঁর মাথার ভিতর রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর অবস্থার উন্নতি হয়নি। ১৩ অগস্ট থেকে তিনি গভীর কোমায় চলে যান।
প্রণব মুখোপাধ্যায় দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসের রোগী। ১০ তারিখ হাসপাতালে ভর্তির পর ধরা পড়ে, তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্তও হয়েছেন। সেই অবস্থাতেই ওই দিন রাতে দীর্ঘ অস্ত্রোপচার হয়। তার পর থেকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল প্রণববাবুকে। অস্ত্রোপচারের আগে, নিজের করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর টুইট করে জানিয়েছিলেন তিনিই। সেটাই ছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শেষ টুইট।
আরও পড়ুন: ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ থেকে ‘মিস্টার ইনডিসপেনসেবল’
অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের সেই টুইট...