পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছিলেন ইমরান? — ফাইল ছবি।
তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ তকমা ছিনিয়ে নিয়ে সব গোলমাল করে দিল ভারত। মন্তব্য পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। ৭০ বছরের ইমরান আরও বলেন, ‘‘সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করতে বেশি উৎসাহী ছিলেন।’’
জ়ামান পার্কে নিজের বাসভবনে বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রধান বলেন, ‘‘আমি আমার সাড়ে তিন বছরের মেয়াদে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আরএসএস মতবাদ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের উপর থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সব গোলমাল হয়ে যায়।’’
বস্তুত, ২০১৯-এ জম্মু-কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে পাকিস্তান আর শান্তি আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখায়নি। এ নিয়ে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম ভারত প্রথমে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক, তার পর শান্তি আলোচনার কথা ভাবা যাবে।’’
ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআই ইমরানকে প্রশ্ন করে, তাঁর আমলে পাকিস্তানের ভারত নীতি নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত কে নিতেন? প্রধানমন্ত্রী ইমরান না কি সেনাপ্রধান বাজওয়া? তার জবাবে ইমরান বলেন, ‘‘আমিই বস ছিলাম। বিদেশনীতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আমারই ছিল। তবে এই অবসরে একটা কথা বলে দিতে চাই, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে জেনারেল বাজওয়া আমার চেয়েও বেশি উৎসাহিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ভারতে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদীর জয় প্রার্থনা করেছিলেন ইমরান। এ নিয়েও তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। তার জবাবে ইমরান জানান, তিনি মোদীকেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চেয়েছিলেন, তার কারণ হল, মোদী এক জন দক্ষিণপন্থী নেতা। এবং ইমরানের মতে, ‘‘এক জন দক্ষিণপন্থী নেতার পক্ষেই সমস্যা সমাধান সম্ভব। আমি চেয়েছিলাম, মোদী ক্ষমতায় ফিরুন এবং কাশ্মীর সমস্যার প্রকৃত সমাধানে মনঃসংযোগ করুন।’’