সজ্জন কুমার। —ফাইল ছবি।
ইন্দিরা গান্ধী হত্যা-পরবর্তী শিখবিরোধী দাঙ্গার একটি মামলায় দিল্লির প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবন জেলের সাজা হল। ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সরস্বতী বিহারে শিখ ধর্মাবলম্বী পিতা-পুত্রকে খুনের ঘটনায় সজ্জন প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত।
গুরুদ্বারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা সংক্রান্ত ওই মামলায় ‘প্রধান প্ররোচনাকারী’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে সজ্জনকে। বিচারক কাবেরী বাওয়েজা জানিয়েছেন, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার অপরাধী সজ্জনের বক্তব্য শোনা হবে। দিল্লিতে শিখবিরোধী হিংসার অন্য একটি মামলায় ২০১৮ সালে দোষী সাব্যস্ত সজ্জনের যাবজ্জীবন জেলের সাজা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি তিহাড় জেলে বন্দি। সেখান থেকেই রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করানো হয়েছিল তাঁকে।
সরস্বতী বিহারের ওই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দা জসবন্ত সিংহ এবং তাঁর পুত্র তরুণদীপ সিংহকে খুন করেছিল উন্মত্ত জনতা। সেই হিংসায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ছিল সজ্জনের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজের শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার পরই দেশ জুড়ে শিখবিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়। ১ নভেম্বর দক্ষিণ দিল্লির রাজনগরে এক শিখ পরিবারের পাঁচ জন সদস্যকে হত্যা এবং ওই এলাকার একটি গুরুদ্বার জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনাতেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সজ্জন কুমার। সেই মামলায় ২০১৮ সালে তাঁর সাজা হয়েছিল।