গোয়ায় জোট-চুক্তি তৃণমূল-এমজিপি-র। ছবি: সংগৃহীত।
বিধানসভা ভোটের আগে গোয়ার প্রথম শাসকদল সহযোগী হল তৃণমূলের। সোমবার দুই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং লুইজিনহো ফেলেইরোর উপস্থিতিতে জোটের ঘোষণা করলেন মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি (এমজিপি)-র সভাপতি দীপক ধবলীকর। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি এবং কংগ্রেসকে গোয়ার ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতেই তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে চুক্তিবদ্ধ হলাম আমরা।’’
২০১৭-র বিধানসভা ভোটে গোয়ায় তিনটি আসনে জিতেছিল এমজিপি। এর পর তারা বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে শামিল হয়। পরে উপমুখ্যমন্ত্রী হন দীপকের দাদা সুদীন। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পরেই বিজেপি-র সঙ্গে এমজিপি-র সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করে পরিষদীয় নেতা সুদীন। কিন্তু দলের অন্য দুই বিধায়ক মনোহর আজগাঁওকর এবং দীপক পাওয়াসকর বিজেপি-তে যোগ দেন। তিন বিধায়কের দু’জন বিজেপি-তে যোগ দেওয়ায় দলত্যাগবিরোধী আইন কার্যকর হয়নি।
দীপক সোমবার বলেন, ‘‘বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দলের নাম তৃণমূল।’’ তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুদীনকে ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ ঘোষণা করে বিধানসভা ভোটে লড়তে পারে নয়া জোট। প্রসঙ্গত, এর আগে আর এক প্রাক্তন বিজেপি-সহযোগী গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সঙ্গেও সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল তৃণমূলের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোয়ার আর এক প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় সরদেশাইয়ের দল জোট করেছে কংগ্রেসের সঙ্গে।