এনআরসি প্রসঙ্গ উল্লেখ করে লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, এনআরসি অসম চুক্তির অঙ্গ। তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীই এনআরসি নবীকরণ মেনে নিয়েছিলেন। তাই কংগ্রেসের উচিত এনআরসির বিরোধিতা না করে, কৃতিত্ব নেওয়া। তার জবাবে অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ দাবি করেন, এনআরসি তাঁর মানসপুত্র। তা অসম চুক্তির অঙ্গ ছিল না। মোদী অসম চুক্তি না পড়েই মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন।
তরুণ গগৈ বলেন, “২০০৫ সালে আমিই নাগরিক পঞ্জি নবীকরণের কথা প্রথম ভেবেছিলাম।’’ তাঁর বক্তব্য, ২০১০ সালে পাইলট প্রোজেক্ট শুরু করলেও আমসুর হিংসাত্মক বিরোধিতায় তা থমকে যায়। পরে আসু ও আমসুর সঙ্গে বসে, মন্ত্রিসভার কমিটি তৈরি করে, দেশের রেজিস্ট্রার-জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর সরকারই এনআরসি প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে। বর্তমান এনআরসি কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলাও তাঁর আমলেই নিযুক্ত হন বলে গগৈ জানান।
গগৈয়ের কথায়, ‘‘তাই এনআরসির কৃতিত্ব আমারই।” তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস যে আদর্শ ও দূরদৃষ্টি থেকে শুদ্ধ এনআরসির কাজ করতে চেয়েছিল বিজেপির আমলে তা হচ্ছে না। প্রকৃত ভারতীয়দের হেনস্থা করার উদ্দেশে নয়, তাঁদের রক্ষা করতে এনআরসি তৈরি হওয়া উচিত ছিল। বর্তমান ত্রুটিযুক্ত, পক্ষপাতদুষ্ট এনআরসি প্রক্রিয়ার দায় তাই একান্তই বিজেপির। এই সরকার অনুপ্রবেশও বন্ধ করতে পারেনি।