আন্দামানের প্রাক্তন মুখ্যসচিব জিতেন্দ্র নারায়ণ। ছবি- সংগৃহিত
আবার পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হল ধর্ষণে অভিযুক্ত আন্দামানের প্রাক্তন মুখ্যসচিব জিতেন্দ্র নারায়ণকে। বুধবার স্থানীয় একটি আদালত জিতেন্দ্রকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশের তরফে আগেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। এত দিন জিতেন্দ্র বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে তাদের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) জিতেন্দ্র এবং ধর্ষণ-কাণ্ডে আরও দুই অভিযুক্ত আন্দামানের সাসপেন্ডেড শ্রম কমিশনার ঋষিশ্বর লাল ঋষি এবং ব্যবসায়ী সন্দীপ সিংহ ওরফে রিঙ্কুকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে চায়।
বুধবার সরকার পক্ষের কৌঁসুলি সুমিত কর্মকার এবং অভিযুক্তদের দুই আইনজীবী ফটিকচন্দ্র দাস ও রাকেশ পাল গোবিন্দের সওয়াল-জবাব শুনে মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের বিচারক অয়ন মজুমদার ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত জিতেন্দ্র এবং সন্দীপকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, অক্টোবরের গোড়ায় জিতেন্দ্র এবং ঋষির বিরুদ্ধে ২১ বছরের এক মহিলা ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে সরকারি বাংলোতে যৌনব্যবসা চালানোর অভিযোগ তোলেন তিনি। অভিযোগ ওঠে, অন্তত ২০ জন মেয়েকে বাড়িতে ডেকে এনে টাকার বিনিময়ে যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করেছেন জিতেন্দ্র। তাঁর সঙ্গী ছিলেন ঋষি এবং সন্দীপ।
দুই উচ্চপদস্থ আমলার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠার পরেই আন্দামান ও নিকোবর পুলিশের কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পুলিশি রিপোর্টে বলা হয়, সরকারি পদের অপব্যবহার করেছেন জিতেন্দ্র। এর পরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। ঋষির বিরুদ্ধেও প্রাথমিক ভাবে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ মিলেছে বলে আন্দামান পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর দাবি।
ওই ধর্ষণের মামলায় অনেক আগেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রাক্তন মুখ্যসচিব জিতেন্দ্র এবং হোটেল ব্যবসায়ী সন্দীপকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ঋষির মতোই গ্রেফতারের আগে সাসপেন্ড করা হয়েছিল জিতেন্দ্রকে। গত সোমবার ঋষি চেন্নাই থেকে পোর্ট ব্লেয়ারে পৌঁছনোর পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।