বস্তাবন্দি শস্য। —নিজস্ব চিত্র।
গুদামে শিশুখাদ্য নষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘিরে বাক্যুদ্ধ শুরু হল কংগ্রেস-বিজেপির।
উত্তর করিমগঞ্জ শিশু উন্নয়ন আধিকারিকের কার্যালয়ের গুদামে পড়ে থেকে নষ্ট হয়েছে বস্তা বস্তা মটর, চাল। দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। শিশু উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। গত কাল ওই কার্যালয়ে হাজির হন করিমগঞ্জ জেলা বিজেপি সদস্যদের একাংশ। দুপুর ২টো পর্যন্ত সরকারি দফতরে কারও খোঁজ পাননি বলে তাঁরা অভিযোগ তোলেন।
পরে বিভাগীয় কর্মীকে ডেকে এনে গুদামে চাল, মটর ফেলে রাখার কারণ জানতে চাওয়া হয়। ওই কর্মী সদুত্তর দিতে পারেননি। বিজেপি সদস্যরা জানিয়ে এসেছিলেন আজ তাঁরা ফের সেখানে যাবেন।
বিবাদের সূত্রপাত এর পরই।
এ দিন উত্তর করিমগঞ্জ শিশু উন্নয়ন আধিকারিকের কার্যালয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীরা পৌঁছনোর আগেই চলে আসেন যুব কংগ্রেস, এনএসইউআই সদস্যরা। কিছু ক্ষণ পর হাজির হন বিজেপি সদস্যরা। কিন্তু কংগ্রেস সমর্থকদের সংখ্যা বেশি থাকায় তাঁরা সেখান থেকে চলে যান। পরে সেখানে পৌঁছন উত্তর করিমগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ।
তিনি দলের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিয়ে শিশু উন্নয়ন আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন। কমলাক্ষবাবু বলেন, ‘‘উত্তর করিমগঞ্জ সমষ্টিতে দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না।’’ তিনি জানান, তিন বছর আগে ওই শিশুখাদ্যগুলি ‘শর্ট সাপ্লাই’ করা হয়েছিল। প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। শিশু উন্নয়ন আধিকারিক সে সব গ্রহণ করায় তাঁকে নিলম্বিত করা হয়েছিল।
বিজেপি পরে সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করে, দুর্নীতি না হলে শিশুখাদ্য বণ্টন করা হল না কেন? গত কাল থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি যখন আন্দোলন শুরু করেছে তখন বিধায়ক কমলাক্ষবাবু এবং যুব কংগ্রেস কর্মীরা কেন বিক্ষোভ দেখাতে গেল? সেখানে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ দাস, সুব্রত ভট্টাচার্য, সুদীপ চক্রবর্তী, সুখেন্দু বিকাশ পাল উপস্থিত ছিলেন।