ফের দোষী সাব্যস্ত হলেন লালুপ্রসাদ যাদব। — পিটিআই থেকে নেওয়া ফাইল চিত্র।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির চতুর্থ মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হলেন লালুপ্রসাদ যাদব। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদকে আজ দোষী সাব্যস্ত করেছে রাঁচীর একটি আদালত। বিহারের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রও এই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। কিন্তু আদালত তাঁকে মুক্তি দিয়েছে।
লালুপ্রসাদ যাদব অবিভক্ত বিহারের (বর্তমান ঝাড়খণ্ডও যার অন্তর্ভুক্ত ছিল) মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অভিযোগ সামনে এসেছিল। বিভিন্ন ট্রেজারি থেকে কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল।
আজ যে মামলাটিতে লালু দোষী সাব্যস্ত হলেন, সেটি দুমকা ট্রেজারির মামলা। ১৯৯৫-৯৬ সালে পশুখাদ্য সরবরাহের নামে দুমকা ট্রেজারি থেকে ৩ কোটি ১৩ লক্ষ কাটা তছরুপ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। অবিভক্ত বিহারের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও আরও ৩০ জন অভিযুক্ত ছিলেন এই মামলায়।
আরও পড়ুন: হট্টগোলে মুলতুবি সংসদ, অনাস্থা প্রসঙ্গ উঠলই না
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির প্রথম মামলাটিতে আরজেডি সুপ্রিমো দোষী সাব্যস্ত হন ২০১৩ সালে। তাঁর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অন্যান্য মামলার রায়ও ঘোষিত হচ্ছে একে একে।
আরও পড়ুন: কুরুক্ষেত্রে ‘কৌরবদের’ বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু রাহুলের
২০১৭-র ২৩ ডিসেম্বর দেওঘর ট্রেজারি মামলার রায় ঘোষিত হয়। তাতে লালু দোষী সাব্যস্ত হন, সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড হয়। ২০১৮-র জানুয়ারিতে লালু চাইবাসা ট্রেজারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। আজ, সোমবার, দুমকা ট্রেজারি মামলায় চতুর্থ বার লালু দোষী সাব্যস্ত হলেন।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির আরও দু’টি মামলা এখনও বিচারাধীন। একটির বিচার চলছে পটনায়, অন্যটির রাঁচীতে। বিজেপি সরকার সিবিআই-কে কাজে লাগিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে বলে লালু অভিযোগ করছেন।