কুয়াশার জেরে দিল্লিতে বাতিল বেশ কিছু বিমান। ছবি: সংগৃহীত।
পর পর তিন দিন। দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে কুয়াশার দাপট জারি রয়েছে। রবিবার ভোরে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে আসে। আর তার জেরে সড়ক, বিমান এবং ট্রেন চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
দিল্লি বিমানবন্দরের এক সূত্রের খবর, রবিবার ঘন কুয়াশার জেরে ৬টি বিমান বাতিল হয়েছে। ১২৩টি বিমানের ওঠানামায় দেরি হয়েছে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ‘ফ্লাইটরাডার২৪’-এর তথ্য বলছে, দিল্লি বিমানবন্দর থেকে যে বিমানগুলি ওঠানামা করছে সেগুলির গড়ে ২০ মিনিট করে দেরি হচ্ছে। শনিবারেও ছবিটা একই রকম ছিল। তবে টানা ৯ ঘণ্টা দৃশ্যমানতা শূন্যে থাকায় ৪৮টি বিমান বাতিল হয়েছে। ৫৬৪টি বিমান ওঠানামায় দেরি হচ্ছে।
রবিবার ভোর থেকে চার ঘণ্টা বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা শূন্যে থাকার পর সকাল ৮টা থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়। তিন দিন ধরে বিমান বাতিল এবং কয়েকশো বিমানের ওঠানামায় দেরি হওয়ায় ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
শুধু বিমানই নয়, ট্রেন চলাচলেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে উত্তর ভারত জুড়ে। ঘন কুয়াশার জেরে উত্তর ভারতগামী দূরপাল্লার ট্রেনগুলি কোনওটা ৪ ঘণ্টা, কোনও ৫ ঘণ্টা, কোনওটা আবার ৮-১০ ঘণ্টা দেরিতে চলছে। শুধু দিল্লিই নয়, পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানাতেও কুয়াশার দাপট চলছে। তার সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করেছে মৌসম ভবন। হাড়কাঁপানো ঠান্ডা থেকে এখনই মুক্তি পাবে না উত্তর ভারত। আরও ২০ দিন এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।