জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কায় দেশের ৯৮টি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এর ফলে পকেটে টান পড়তে চলেছে যাত্রীদের। বর্তমানে যাত্রী পরিষেবা খাতে টিকিট পিছু দেড়শো টাকা নেওয়া হয়। এ বার বিমানবন্দরগুলিতে নিরাপত্তার কারণে যে টাকা খরচ হবে, তার একটি বড় অংশ যাত্রীদের টিকিটে সেস বসিয়ে তোলার কথা ভাবছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ফলে আগামী দিনে বিমান ভাড়া বাড়তে পারে।
দেশের ৫৯টি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কেন্দ্রীয় বাহিনীর অধীনে। কিছু স্পর্শকাতর বিমানবন্দর সিআরপিএফের হাতে থাকলেও, অধিকাংশ বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বেই রয়েছে সিআইএসএফ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্রের মতে, আধাসেনা মোতায়েনের খরচ বিমান মন্ত্রককেই দিতে হয়। কিন্তু কয়েক বছর ধরে নিরাপত্তার কারণে বিমানবন্দরগুলিতে যত সংখ্যায় আধাসেনার মোতায়েন হচ্ছে, তাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে প্রয়োজনীয় অর্থ দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছে না বিমান মন্ত্রক।
একটি সূত্রের মতে, সিআইএসএফ রাখার জন্য বছরের শুরুতেই বিমান মন্ত্রকের তরফে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা। এখন বকেয়া টাকার অঙ্ক হাজার কোটি ছড়িয়েছে।
বিমান মন্ত্রক বলছে, টিকিট পিছু দেড়শো টাকা নেওয়া হলেও, খরচে কুলিয়ে উঠছে না। ফি দিন বেড়েই চলেছে দেনার অঙ্ক। এর পরে যদি দেশের আরও ৪০টি বিমানবন্দরের দায়িত্ব আধা সামরিক বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়, তা হলে সেই টাকা কোথা থেকে আসবে, তা-ও চিন্তার বিষয়।
সমাধান সূত্র খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিলেন স্বরাষ্ট্র, বিমান ও অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা। বৈঠকে অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, বিমানবন্দরের লাউঞ্জ ও পার্কিংকে আরও বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করা হোক। একই সঙ্গে অর্থ মন্ত্রকে পরামর্শ দিয়েছে, এতেও যদি খরচ না ওঠে, তা হলে যাত্রীদের টিকিটে পরিষেবা খাতে যে টাকা নেওয়া হয়, সেই টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। বিমান মন্ত্রকের কর্তাদের মতে, পরিষেবা খাতে বেশি অর্থ নিলে স্বাভাবিক ভাবেই টিকিটের দাম বেড়ে যাবে।