প্রতীকী ছবি।
এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পাঁচ মহিলা সদস্যের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গ্রাম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করল এক দল দুষ্কৃতী। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে ঝাড়খণ্ডের খুঁটি জেলায়।
ওই জেলারই কোচাং গ্রামে নারী পাচার নিয়ে সচেতনতা অভিযানে গিয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির ১১ জনের একটি দল। তাঁরা পথনাটিকা করছিলেন। অভিযোগ, সে সময় এক দল দুষ্কৃতী আচমকাই সেখানে হাজির হয়। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে তারা। হুমকি দেয়, তাদের অনুমতি ছাড়া কেন এ সব সরকারি প্রকল্প নিয়ে গ্রামে ঢুকেছেন তাঁরা। প্রতিবাদ করতে গেলে শুরু হয় মারধর। পুরুষ সদস্যদের ব্যাপক মারধরের পর নিজেদের প্রস্রাব খেতে বাধ্য করা হয়। এর পরই মহিলা সদস্যদের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গাড়ি করে জঙ্গলে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে তারা। শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনার ভিডিয়োও বানানো হয় বলে অভিযোগ। প্রায় চার ঘণ্টা আটকে রাখার পর সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার সময় অনেক গ্রামবাসীই সেখানে ছিলেন। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করার সাহস দেখাননি বলেও দাবি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটিরএক সদস্যের। গত বুধবার ঘটনাটি সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসে রাজ্য পুলিশ। তড়িঘড়ি বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে তারা। রাঁচীর ডিআইজি অমল ভি হোমকার জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। আলাদা আলাদা তিনটে দল গঠন করে দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। এই ঘটনায় ন’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে গেল কম্যান্ডো, নজর অমরনাথ যাত্রায়
আরও পড়ুন: চলমান সিঁড়ি নয় দু’হাজার স্টেশনে