‘এয়ার শো’ দেখতে চেন্নাইয়ের মেরিনা সমুদ্র সৈকতে ভিড়। রবিবার দুপুরে। ছবি: পিটিআই।
বায়ুসেনার ৯২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘এয়ার শো’-র আয়োজন করা হয়েছিল চেন্নাইয়ের মেরিনা সমুদ্র সৈকতে। কিন্তু ভিড় এবং অত্যধিক গরমের কারণে সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। রবিবার জানা গিয়েছিল, অসুস্থ হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল পাঁচ। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই শতাধিক মানুষ। আর এই ঘটনার পরেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে।
গোটা ঘটনার জন্য তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনকে দায়ী করেছে বিরোধী বিজেপি এবং এডিএমকে। ওই রাজ্যের বিজেপি সভাপতি আন্নামালাই সমাজমাধ্যমে ডিএমকে-কে দুষে লেখেন, “রাজ্য সরকার মানুষের ন্যূনতম নিরাপত্তার কথাও ভাবেনি। মানুষ প্রয়োজনীয় পরিষেবা পায়নি। প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম যানবাহন চালানো হয়।” এই ঘটনায় স্ট্যালিন সরকারের সমালোচনায় সরব হয় জয়ললিতার দল এডিএমকে-ও। দলের নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইকে পলানিস্বামী সমাজমাধ্যমে লেখেন, “এয়ার শো দেখতে যাওয়া মানুষদের জন্য পানীয় জলের বন্দোবস্ত ছিল না। হিটস্ট্রোকের কারণে বহু মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।”
এই আবহে ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি সোমবার জানান, অনিয়ন্ত্রিত ভিড় এড়ানো যেত। প্রকারান্তরে তিনি এই ঘটনার জন্য তাঁর দল পরিচালিত প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমএ সুব্রহ্মণ্যম অবশ্য জানান, বায়ুসেনার আর্জি মেনে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করেছিল প্রশাসন। বিষয়টিতে রাজনীতির রং দেওয়ার জন্য বিরোধী দলগুলিরও সমালোচনা করেন স্ট্যালিন মন্ত্রিসভার এই সদস্য।
প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল রবিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চেন্নাইয়ের আকাশ জুড়ে বিশেষ প্রদর্শনী দেখানো হবে। প্রদর্শনীতে অংশ নেবে বায়ুসেনার একাধিক বিমান। সেই মতো শুরু হয় প্রদর্শনীও। কিন্তু ভাল এবং সুবিধাজনক জায়গা থেকে প্রদর্শনী দেখার জন্য সকাল ৮টা থেকেই মেরিনা সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমান অনেকে। দুপুর ১১টার সময় কয়েক লক্ষ মানুষের ভিড় জমে যায়। অত্যধিক গরমের কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। রোদের প্রবল তাপে কেউ কেউ জ্ঞান হারিয়ে পড়েও যান। স্থানীয়দের অভিযোগ, এত মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় জলের জোগান ছিল না। বেরোনোর সময় হুড়োহুড়িতে পড়ে যান অনেকে।