—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
কুয়োতে পড়ে গিয়েছিল একটি বিড়াল। তাকে বাঁচাতে গিয়ে একই পরিবারের পাঁচ জন সদস্যের মৃত্যু হল। কুয়োর জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। ওই পরিবারের এক জনকে বাঁচানো গিয়েছে। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল।
ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার ভাকাডি গ্রামের। মঙ্গলবার রাতে সেখানকার একটি কুয়ো থেকে পাঁচটি দেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ওই পাঁচ জনই একই পরিবারের সদস্য। একে অপরকে বাঁচাতে পর পর কুয়োয় ঝাঁপ দিয়েছিলেন তাঁরা। প্রথম জন ঝাঁপ দিয়েছিলেন একটি বিড়ালকে বাঁচাতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কুয়োটি দীর্ঘ দিন ধরেই এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। স্থানীয় কৃষকেরা সেখানে বায়োগ্যাস, জৈব পদার্থ এবং আবর্জনা ফেলতেন। মঙ্গলবার বিকেলে সেই কুয়োর মধ্যে পড়ে যায় একটি বিড়াল। তাকে উদ্ধার করতে প্রথমে কুয়োতে ঝাঁপ দেন এক যুবক। কিন্তু কুয়ো থেকে আর উঠতে পারেননি তিনি। তাঁকে বাঁচাতে পরিবারের আর এক জন সদস্য কুয়োতে নামার চেষ্টা করেন এবং পড়ে যান। একই ভাবে ওই পরিবারেরই পর পর ছ’জন কুয়োতে পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের চিৎকারে এলাকায় লোক জড়ো হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
নেওয়াসা থানার পিআই ধনঞ্জয় যাদব জানিয়েছেন, রাত থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছিল। রাত ১১টা নাগাদ কুয়ো থেকে এক যুবককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। আপাতত সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। তার পর রাত সাড়ে ১২টার মধ্যে ওই কুয়ো থেকে আরও পাঁচ জনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, কুয়োটির মধ্যে অনেক বর্জ্য পদার্থ জমে ছিল। সেগুলি সরিয়ে পড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে সমস্যা হয়। বর্জ্য সরানোর জন্য স্থানীয় পুরসভা থেকে দু’টি বড় পাম্প নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঘটনাস্থলে। বিশেষজ্ঞদেরও উদ্ধারকাজে নিযুক্ত করা হয়েছিল। ঘটনাস্থলে মজুত ছিল পাঁচটি অ্যাম্বুল্যান্স। কিন্তু তা কাজে আসেনি। কেবল এক জনকেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে।